‘CAG রিপোর্টে AAP-এর মুখোশ খুলে গেছে!’ মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারি

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা শুক্রবার আম আদমি পার্টি (AAP)-কে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (CAG) রিপোর্ট নিয়ে গোলমালের জন্য তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “এই নাটক…

cag-report-exposes-aap-delhi-cm-rekha-gupta-warning

short-samachar

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা শুক্রবার আম আদমি পার্টি (AAP)-কে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (CAG) রিপোর্ট নিয়ে গোলমালের জন্য তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “এই নাটক শুধুই অজুহাত, কারণ AAP রিপোর্টের সত্য মেনে নিতে পারছে না। CAG রিপোর্টে, AAP-এর আবগারি নীতির কারণে ২,০০০ কোটি টাকার ক্ষতির কথা উঠে এসেছে। গুপ্তা জানান, রাজ্যের একটি পয়সাও নষ্ট হতে দেব না।”

   

তিনি অভিযোগ করে বলেন, AAP দিল্লির করের টাকা অন্য রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করেছে। “এরা দিল্লির ট্যাক্সের টাকা অন্যত্র নির্বাচনে খরচ করেছে। আমরা ধাপে ধাপে CAG রিপোর্ট প্রকাশ করছি, তাই AAP নেতারা আতঙ্কিত। তারা সভায় আমাদের সামনে বসে নিজেদের কুকীর্তি শুনতে পারছে না।”

গুপ্তা দাবি করেন, AAP সত্যের মুখোমুখি হতে না পেরে বাবাসাহেব আম্বেদকরের প্রতিকৃতি অপসারণ নিয়ে নাটক শুরু করেছে। তিনি বলেন, “নরেন্দ্র মোদী সরকার আম্বেদকরকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দিয়েছে, যা অন্য কোনও সরকার করতে পারেনি। এর আগে মঙ্গলবার, লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনার ভাষণের সময় আম্বেদকর ও ভগৎ সিংয়ের প্রতিকৃতি অপসারণের অভিযোগে স্লোগান দেওয়ায় ২১ AAP বিধায়ক সাসপেন্ড হন।”

শুক্রবার দিল্লি বিধানসভায় আরেকটি CAG রিপোর্ট পেশ করা হয়, যা দিল্লির স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গুরুতর ত্রুটি প্রকাশ করেছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ প্রকাশিত ‘পাবলিক হেলথ ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অফ হেলথ সার্ভিসেস’ রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য বিভাগে ২১% কর্মী ঘাটতি রয়েছে। বিশেষজ্ঞ ও সুপার-স্পেশালিস্ট চিকিৎসকদের ঘাটতি ৩০%।

রিপোর্টে উল্লেখ, হাসপাতালে ওষুধ, যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের অভাব। অনেক হাসপাতালে খাদ্য পরিষেবা ও রেডিওলজিকাল সুবিধা নেই। বড় অস্ত্রোপচারের জন্য অপেক্ষার সময় ২-৩ মাস থেকে ৬-৮ মাস। RGSSH-এর ১২টির মধ্যে ৬টি ও JSSH-এর ৭টি মডুলার অপারেশন থিয়েটার কর্মী সংকটে বন্ধ হয়ে পড়েছে।

সেন্ট্রালাইজড অ্যাক্সিডেন্ট অ্যান্ড ট্রমা সার্ভিসেস (CATS)-এর অ্যাম্বুলেন্সে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাব। ওষুধ পরীক্ষার ল্যাব নিয়োগে বিলম্ব, ড্রাগস কন্ট্রোল বিভাগে কর্মী সংকট এবং হাসপাতালগুলির স্বীকৃতির অভাবও রিপোর্টে উঠে এসেছে।