উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার মানা গ্রামের কাছে তুষারধসে (Avalanche) আটকা পড়া সীমান্ত সড়ক সংস্থার (BRO) ৩২ জন কর্মীকে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার জেলা প্রশাসক সন্দীপ তিওয়ারি জানান, “৫৭ জন কর্মী আটকে পড়েছিল, এর মধ্যে ৩২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।” বাকি ২৫ জনকে উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
উত্তরাখণ্ড দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর জানিয়েছে, উদ্ধারকাজ “যুদ্ধকালীন তৎপরতায়” চলছে। শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩২ জন কর্মী উদ্ধার করা হয়েছে, বাকি ২৫ জনকে উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। দপ্তরটি আরও জানিয়েছে, “বদ্রীনাথ ধামের ৬ কিলোমিটার আগে চামোলি জেলায় তুষারধসের কবলে পড়া দুর্গত মানুষদের উদ্ধারে ত্রাণ সামগ্রী ও রক্ষাকার্য অব্যাহত রয়েছে।”
এছাড়া, উত্তরাখণ্ড সরকার শুক্রবার তুষারধস সংক্রান্ত সহায়তা ও তথ্য পাওয়ার জন্য হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ করেছে। উত্তরাখণ্ড সরকারের জনসংযোগ দপ্তর (DIPR) জানিয়েছে, রাজ্য জরুরি পরিচালন কেন্দ্রের মাধ্যমে হেল্পলাইন নম্বরগুলি চালু করা হয়েছে।
উত্তরাখণ্ড সরকারের জারি করা হেল্পলাইন নম্বরগুলি হলো:
মোবাইল নম্বর: ৮২১৮৮৬৭০০৫, ৯০৫৮৪৪১৪০৪
টেলিফোন নম্বর: ০১৩৫ ২৬৬৪৩১৫
টোল ফ্রি নম্বর: ১০৭০
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কার সিং ধামির সঙ্গে কথা বলে তুষারধসের ঘটনার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি আশ্বস্ত করেন যে, সরকারের অগ্রাধিকার হল আটকে পড়া মানুষদের নিরাপদে উদ্ধার করা। অমিত শাহ বলেন, “চামোলি, উত্তরাখণ্ডের তুষারধস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কার সিং ধামি, ITBP এর ডিজি, এবং NDRF এর ডিজির সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের অগ্রাধিকার হল দুর্ঘটনায় আটকে পড়া মানুষদের নিরাপদে উদ্ধার করা।”
তিনি আরও বলেন, “স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধারকাজে সম্পূর্ণভাবে নিযুক্ত রয়েছে। দু’টি NDRF (National Disaster Response Force) টিমও শীঘ্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছাবে।”
এদিকে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এই পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ধামির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং স্থানীয় সেনা ইউনিট আক্রান্তদের সব ধরনের সাহায্য প্রদান করছে বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন। এক্স (টুইটার)-এ একটি পোস্টে তিনি বলেন, “আজ জোশীমঠের মানা এলাকায় দুর্ভাগ্যজনক তুষারধস ঘটেছে, যা বিআরও-র জিআরইএফ ক্যাম্পকে প্রভাবিত করেছে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছি। প্রশাসন আক্রান্তদের সব ধরনের সাহায্য প্রদান করছে। আটকা পড়া কর্মীদের উদ্ধারে প্রশাসন সবরকম চেষ্টা করছে।
মুখ্যমন্ত্রী ধামি জানান, আইটিবিপি ও সেনাবাহিনীর কর্মীরা উদ্ধারকার্যে নিয়োজিত রয়েছে। উত্তরাখণ্ড সরকার ও কেন্দ্রীয় প্রশাসন এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।