হরিয়ানার পাঁচ কংগ্রেস নেতাকে ছয় বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন এক সাবেক বিধায়ক, রামবীর সিংহ। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে, যার ফলে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
বহিষ্কৃত পাঁচ নেতার মধ্যে রামবীর সিংহ ছাড়াও রয়েছেন বিজয় কৌশিক, রাহুল চৌধুরী, পূজা রানী এবং রূপেশ মালিক। হরিয়ানা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “মিউনিসিপাল করপোরেশন নির্বাচনের (২০২৫) চলতি প্রক্রিয়ায় কিছু নেতারা দলবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার খবর পাওয়া গেছে। তাদেরকে ছয় বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।”
এটি হরিয়ানায় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নেওয়া দ্বিতীয় বড় পদক্ষেপ, এর আগেও ২০ ফেব্রুয়ারি সাতজন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। সেই সাত নেতা ছিলেন, জেলা কংগ্রেস কমিটির প্রাক্তন সভাপতি তারলোচন সিংহ ও আশোক খুরানা (কর্ণাল), সদস্য সমন্বয় কমিটির প্রবীণ চৌধুরী (কর্ণাল), যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি মধু চৌধুরী (যমুনা নগর), এবং হরিয়ানার হিসার বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী রাম নিবাস রারা। এছাড়া, গুরগাঁওয়ের হারবিন্দর (লাভলি) এবং রাম কিষাণ সেইনকেও ছয় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
হরিয়ানা কংগ্রেস সভাপতি উদয় ভান কংগ্রেস নেতা হিসেবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (EVM) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং ভোটের জন্য ব্যালট পেপার ব্যবহারের দাবি তুলেছেন। তিনি বলেন, “আমরা চাই যে, নির্বাচনের জন্য ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হোক, যেমনটি উত্তরাখণ্ডে করা হয়েছে। সব রাজ্য নির্বাচনেই ইভিএম নিয়ে সন্দেহ ওঠে এবং এটির প্রকৃততা নিয়ে অভিযোগ করা হয়, তাই আইন অনুযায়ী ব্যালট পেপারের ব্যবহার হওয়া উচিত।”
ভোট গণনা নিয়ে দেরি হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দ্বিতীয়ত, সব স্থানীয় নির্বাচনের ভোট গণনা ভোটের দিনই হয়ে থাকে, তাহলে কেন হরিয়ানা মিউনিসিপাল করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল ১০ দিন পর প্রকাশ করা হচ্ছে?”
হরিয়ানা কংগ্রেসের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা চলছে, এবং আগামী নির্বাচনে তাদের সাফল্যের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।