মোদীর ডিগ্রি বিতর্ক! আদালতে তথ্য দেখাতে রাজি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়

নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডিগ্রি সংক্রান্ত বিতর্কে নয়া মোড়৷ বৃহস্পতিবার দিল্লি হাই কোর্টে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আদালতের কাছে ১৯৭৮ সালে স্নাতক…

নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডিগ্রি সংক্রান্ত বিতর্কে নয়া মোড়৷ বৃহস্পতিবার দিল্লি হাই কোর্টে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আদালতের কাছে ১৯৭৮ সালে স্নাতক হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের তথ্য দেখাতে রাজি।  বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে জানান, “তথ্য দেখাতে কোনও আপত্তি নেই।”

এটি একটি তথ্য অধিকার আইনে (আরটিআই) করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটে, যার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়কে মোদীর ডিগ্রি সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দেয়। মেহতা আদালতে দাবি করেন, কমিশনের ওই নির্দেশ বাতিল হওয়া উচিত। তবে, আদালত বৃহস্পতিবারের শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছেন।

   

মোদীর ডিগ্রি নিয়ে মামলা দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। আরটিআই কর্মী নীরজ কুমার প্রথমে ১৯৭৮ সালের স্নাতক স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের নাম, রোল নম্বর, প্রাপ্ত নম্বর ও পাশ-ফেল সম্পর্কিত তথ্য জানতে চেয়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছিলেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, তৃতীয় পক্ষের তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। ১৯৭৮ সালে স্নাতক হন নরেন্দ্র মোদীও।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আপত্তি নিয়ে নীরজ কুমার কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের কাছে আবেদন করেন। কমিশন ওই তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দেয়। এর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন জানায় এবং ২০১৭ সালে আদালত ওই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে।

পূর্ববর্তী শুনানিতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছেন, আরটিআই আইনের উদ্দেশ্য হলো তথ্যের স্বচ্ছতা, তবে “শুধুমাত্র কৌতূহল মেটানোর জন্য তথ্য দেওয়া এই আইনের উদ্দেশ্য নয়।” তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ছাত্রদের তথ্য একটি বিশ্বাসের ভিত্তিতে সংরক্ষিত থাকে এবং সেই তথ্য প্রকাশ করা আইনের বিধির আওতায় হতে হবে।

এখন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ১৯৭৮ সালের স্নাতক বিভাগের তথ্য আদালতের কাছে দেখাতে রাজি হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত মোদীর ডিগ্রি বিতর্কের পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে।