পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হাফ সেঞ্চুরি তো দূরের কথা, বিরাট কোহলি সেঞ্চুরি করাও সম্ভব ছিল না! এমনই মন্তব্য করেছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর (Sunil Gavaskar)। তার মতে, বিরাট কোহলি (Virat Kohli) পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের অজ্ঞতার কারণে আউট হতে পারেননি। গাভাসকরের কথায়, বিরাট ভাগ্যবান, কারণ তিনি ফিল্ডিংয়ে বাধা দেওয়ার জন্য ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ডের’ শিকার হয়ে আউট হতে পারতেন, কিন্তু পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা আপিল না করায় তিনি বেঁচে যান। এমনি ঘটনা ঘটে ঘটনাটি ঘটে ভারত-পাকিস্তান ( India vs Pakistan) ম্যাচে।
ঘটনাটি ঘটে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের ২১তম ওভারে, যখন হারিস রউফের একটি বল থেকে সিঙ্গেল নিয়ে ফিল্ডারের দিকে যাচ্ছিলেন বিরাট কোহলি। তখন পাকিস্তানের ফিল্ডারটি বলটি কিপারের দিকে ছুঁড়তে গিয়েছিলেন, কিন্তু কোহলি বলটি হঠাৎ করেই হাত দিয়ে ধরেন। মজার বিষয় হল, বলটি সেদিকে যাচ্ছিল যেখানে ব্যাকআপে কোনও ফিল্ডার উপস্থিত ছিলেন না। পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম চেষ্টা করছিলেন ব্যাকআপের জন্য কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই হয়নি। গাভাসকর মনে করেন এই ধরনের কাজ ক্রিকেটের নিয়মের বিরুদ্ধে এবং পাকিস্তান যদি আবেদন করত, তবে বিরাটের আউট হওয়া নিশ্চিত ছিল।
গাভাসকরের মতে, “বিরাট যেভাবে অহেতুক হাত দিয়ে বলটি ধরেছিল, সেটা পুরোপুরি নিয়ম বিরুদ্ধ। পাকিস্তান যদি আবেদন করত, তাহলে ফিল্ডিংয়ে বাধা দেওয়ার কারণে বিরাটকে আউট দেওয়া হতে পারত। কিন্তু পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা আবেদন করেনি। এমনকি বলটি যেখানে যাচ্ছিল সেখানে কোন ব্যাকআপ ছিল না, ফলে ভারত একটি বাড়তি রানও পেতে পারত।”
ক্রিকেটের ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও ব্যাটসম্যান ইচ্ছাকৃতভাবে ফিল্ডারদের রান আউট বা ক্যাচ নিতে বাধা দেয়, তাহলে তাকে আউট দেওয়া হতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে ২০০৬ সালে ইনজামাম উল হক ভারতীয় ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে এমনভাবে আউট হয়েছিলেন। আবার ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডের বেন স্টোকসও একই কারণে আউট হয়েছিলেন। তবে গাভাসকরের মতে বিরাটের ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু আলাদা। কোহলি বলটি হাতে ধরেছিলেন, কিন্তু সেটা পপিং ক্রিজে ঢুকে পড়ার পর।
পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার রামিজ রাজা এই ঘটনায় খানিক হতবাক হয়েছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, “পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ম্যাচ সচেতনতা ছিল না। যদি তারা একটু সচেতন হতো, তাহলে তারা দ্রুত আবেদন করতে পারত এবং বিরাট কোহলি আউট হতে পারতেন। এটা একেবারে অদ্ভুত ছিল।” পাকিস্তানি ক্রিকেটের এই কাণ্ডে হতাশা প্রকাশ করেছেন রামিজ রাজা আরও বলেন, “এই ধরনের ভুল সচেতনতা দলের পক্ষে ভালো হতে পারে না।”
যদিও বিরাট কোহলি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন, “এটা শুধু ভাগ্যের বিষয় ছিল। আমি জানতাম না, বলটা আসলে কোথায় যাচ্ছে, তবে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেটা আসলেই অস্বাভাবিক ছিল। আমি নিজেও অবাক হয়ে গিয়েছিলাম যে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা কোনও আবেদন করেনি। কিন্তু, আমি আসলে ফিল্ডিংয়ে বাধা দিইনি, তাই সেটা হয়তো খারাপ কিছু ছিল না।”