উর্ধমুখী হলেও আজ স্থিতিশীল পেট্রল ডিজেলের মূল্য

আজ, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ভারতে পেট্রল ও ডিজেলের দাম নিয়ে নতুন কোনও পরিবর্তন হয়নি। দেশের বিভিন্ন শহরে পেট্রল ও ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত থাকার ফলে সাধারণ…

আজ, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ভারতে পেট্রল ও ডিজেলের দাম নিয়ে নতুন কোনও পরিবর্তন হয়নি। দেশের বিভিন্ন শহরে পেট্রল ও ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত থাকার ফলে সাধারণ মানুষের জন্য দৈনন্দিন চলাফেরায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে। তবে, আন্তর্জাতিক তেলের বাজারের ওঠানামা, রাষ্ট্রীয় কর নীতি, এবং সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে আগামী দিনে দাম বাড়ানোর বা কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এবার দেখে নেওয়া যাক কিছু গুরুত্ব পূর্ণ শহরে পেট্রল ও ডিজেলের দাম।

নতুন দিল্লিতে আজ পেট্রল ১০৪.৩৫ টাকা প্রতি লিটার এবং ডিজেল ৯৫.২৪ টাকা প্রতি লিটার, কলকাতায় পেট্রল ১০৫.৫৫ টাকা প্রতি লিটার এবং ডিজেল ৯৬.৪২ টাকা প্রতি লিটার। মুম্বাইতে পেট্রল ১১২.৪৫ টাকা প্রতি লিটার এবং ডিজেল ১০৩.৩৮ টাকা প্রতি লিটার। চেন্নাইতে আজ পেট্রল ১০৫.২৪ টাকা প্রতি লিটার এবং ডিজেল ৯৭.১৭ টাকা প্রতি লিটার। বেঙ্গালুরু শহরে আজ পেট্রল ১০৯.১১ টাকা প্রতি লিটার এবং ডিজেল ১০০.০২ টাকা প্রতি লিটার এবং তার সঙ্গে হায়দরাবাদ শহরে পেট্রল ১০৯.৮৬ টাকা প্রতি লিটার এবং ডিজেল ১০১.৫৫ টাকা প্রতি লিটার।

   

বিশ্ব বাজারে তেলের দাম, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত তেলের দাম, প্রতি সপ্তাহে পরিবর্তিত হচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কিছুটা স্থিতিশীল ছিল, তবে তা কীভাবে ভারতের বাজারে প্রভাব ফেলবে, তা এখনই বলা মুশকিল। দেশের মধ্যে সরকারী কর, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য করের পরিমাণও পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে।

আন্তর্জাতিক তেলের বাজার অপরিশোধিত তেলের মূল্য বাড়লে, তেলের আমদানিতে খরচ বাড়ে, যার পরিণতিতে দেশীয় বাজারে পেট্রল ও ডিজেলের দাম বাড়ে। পেট্রোল ও ডিজেলের উপর কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স (ভ্যাট) আরোপ করে থাকে। ফলে, একেক রাজ্যে দাম ভিন্ন হতে পারে।
বর্তমানে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেশ কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে, তবে যদি আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো বড় পরিবর্তন ঘটে, তাহলে দেশীয় বাজারেও তার প্রভাব পড়বে। গত কয়েক মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কর কমানোর বা সাশ্রয়ী মূল্যে তেল বিক্রির কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, যা সাধারণ মানুষের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। বিশেষত মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত জনগণের জন্য, পেট্রল-ডিজেলের বাড়তি দাম চলাফেরা, পণ্য পরিবহন এবং দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচে বড় প্রভাব ফেলছে। এছাড়া, ট্রান্সপোর্ট এবং কৃষি ক্ষেত্রেও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে খরচ বেড়ে যাওয়ায় সেগুলির উপরেও প্রভাব পড়ছে। তাই, সরকার যদি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনার কোনো ব্যবস্থা না নেয়, তবে তা অন্যান্য খাতে সংকট সৃষ্টি করতে পারে।

আজকের পরিস্থিতি অনুযায়ী, পেট্রল ও ডিজেলের দাম স্থিতিশীল থাকলেও ভবিষ্যতে কোনও হঠাৎ পরিবর্তন হতে পারে। যাত্রীদের এবং ব্যবসায়ীদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে, তাঁরা তেলের ব্যবহারে সাশ্রয়ী হন এবং যাতায়াতে পরিবর্তন আনেন। তাছাড়া, গাড়ির মাইলেজ ভালো রাখার জন্য নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা জরুরি। সার্বিক ভাবে আজকের পেট্রল ও ডিজেলের দাম দেশে স্থিতিশীল রয়েছে।