চণ্ডীগড়ের প্রাচীন শিব মন্দিরে ২৬ ফেব্রুয়ারি মহা শিবরাত্রি উদযাপন এবং ২ মার্চ ‘লঙ্গর সেবা’ উপলক্ষে মূল গেটের অস্থায়ী খোলার নির্দেশ দিয়েছে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট। আদালত জানিয়েছে যে, এই সময়ে ভিড়ের সঠিক ব্যবস্থাপনা করা হবে মিলিটারি পুলিশদের তত্ত্বাবধানে এবং তারপর গেটগুলি আবার বন্ধ করে দেওয়া হবে। আদালতের বেঞ্চে বিচারপতি সুরেশ্বর থাকুর এবং বিচারপতি বিকাশ সুরী এই রায় দেন, যখন তারা মন্দিরের দেবতা শিবের পক্ষে একটি পিটিশন শুনছিলেন। পিটিশনটি দায়ের করেছিলেন আইনজীবী দিনেশ কুমার মালহোত্রা এবং সাক্সম মালহোত্রা, যারা দাবি করেন যে, উৎসবের সময় গেটগুলি সিল করে দেওয়া হলে, বহু ভক্তের আগমন হতে পারে এবং তা ভিড়ের সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে হতে পারে নয়া দিল্লির মতো ভয়াবহ ঘটনা।
পিটিশনারদের বক্তব্য ছিল যে, মহা শিবরাত্রি এবং লঙ্গর সেবা উপলক্ষে মন্দিরে ব্যাপক ভক্তসমাগম হতে পারে, যা সামলানো কঠিন হতে পারে যদি গেট সিল করে রাখা হয়। তারা আদালতের কাছে আবেদন করেন যে, গেটগুলি অস্থায়ীভাবে খোলার মাধ্যমে ভক্তদের প্রবাহ সহজতর করা হোক, যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে। চণ্ডীগড় প্রশাসন, যা এই মামলায় প্রতিনিধিত্ব করছেন অ্যাডিশনাল স্ট্যান্ডিং কাউন্সেল পি.এস. কানওর এবং স্ট্যান্ডিং কাউন্সেল দীপক মালহোত্রা, আদালতে জানিয়েছেন যে, মন্দিরটি একটি নথিভুক্ত খালি করার আদেশের অধীনে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে। তাঁরা বলেন, “এটি শুধুমাত্র মহা শিবরাত্রি উৎসব এবং ২ মার্চের লঙ্গর সেবা উপলক্ষে ভক্তদের নিরাপদ প্রবাহ নিশ্চিত করতে গেট খোলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে, যাতে কোনও দুর্ঘটনা না হয়।”
আদালত জানিয়েছে যে, গেটগুলি খোলার পর ভিড়ের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য মিলিটারি পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে। মন্দিরের গেটের প্রস্থ যথেষ্ট বড়, যা ভক্তদের সঠিকভাবে প্রবাহিত হতে সাহায্য করবে এবং কোনও ঝামেলা হবে না। প্রশাসন এও জানিয়েছে যে, সমস্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এদিকে, আদালতের নির্দেশে ২৬ ফেব্রুয়ারি মহা শিবরাত্রি এবং ২ মার্চ লঙ্গর সেবা আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গেছে। শিব মন্দিরের কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসন উভয়ই এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই রায়টি মন্দিরের ভক্তদের মধ্যে এক বড় স্বস্তি নিয়ে এসেছে, কারণ তারা আশঙ্কা করেছিলেন যে, গেট বন্ধ থাকলে তাদের পূজা এবং সেবায় অংশগ্রহণে সমস্যা হতে পারে। এখন, নিরাপদে এবং সুষ্ঠূভাবে উৎসবগুলি পালন করার জন্য সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের এই নির্দেশ চণ্ডীগড়ের শিব মন্দিরে অনুষ্ঠিত হতে চলা গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসবগুলির জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি মন্দির কর্তৃপক্ষের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যাতে তারা ভক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে এবং কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধ করতে সক্ষম হয়।