রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট সোমবার গ্যাংস্টার কপিল সাংওয়ান (অলিয়াস নন্দু) এর বিরুদ্ধে এক্সটর্শন মামলায় নন-বেইলেবল ওয়ারেন্ট জারি করেছে। আদালত বলেছে, সাংওয়ান একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী, যার বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে এবং পূর্ণ তদন্তের জন্য তার উপস্থিতি প্রয়োজন। এই মামলাটি ২০২৩ সালে মোহন গার্ডেন থানায় রেজিস্টার করা হয়। সাংওয়ান একটি সঙ্গঠিত অপরাধী সিন্ডিকেট চালাত বলে অভিযোগ রয়েছে। মামলার এক পর্যায়ে প্রাক্তন আপ বিধায়ক নরেশ বালিয়ানও গ্রেফতার হয়েছিলেন, তবে তিনি গত ডিসেম্বর মাসে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান।
অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পরশ দালাল এই নির্দেশ দেন, যখন দিল্লি পুলিশ তার আবেদন জমা দেয়। আদালত তার আদেশে বলেন, “কপিল সাংওয়ান (অলিয়াস নন্দু) এর বিরুদ্ধে নন-বেইলেবল ওয়ারেন্ট জারি করা হোক এবং তদন্তকারী অফিসারের মাধ্যমে এটি আদালতে ৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।” তিনি একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী, যার বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে। সুতরাং, পূর্ণ তদন্তের জন্য তাকে তদন্তে যোগদান করা আবশ্যক।”
অন্যদিকে, আদালত বলেছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক অনুসন্ধান ও পরিচালিত হয়েছে, তবে কোনো সাফল্য মেলেনি, তাই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, অভিযুক্ত সাংওয়ান ফোনে ভয়ঙ্কর হুমকি দিয়েছিলেন এবং তার দাবির পুরস্কৃত না হলে কঠোর পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে বলে ভুক্তভোগীকে সতর্ক করেন। সংগৃহিত একাধিক অডিও ক্লিপ এবং হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের স্ক্রীনশটও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে, যা অভিযুক্ত সাংওয়ান জড়িত থাকার প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত সাংওয়ান এই সব হুমকি আন্তর্জাতিক মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে পাঠিয়েছিল।
এছাড়াও, পুলিশ জানিয়েছে যে, অভিযুক্ত সাংওয়ান বিরুদ্ধে একাধিক এক্সটর্শন ও অপরাধী ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু হয়েছে এবং সে এখনও পলাতক রয়েছে। তার শেষ পরিচিত ঠিকানা এবং সম্ভাব্য লুকোনো জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে, তবে কোনো ফল পাওয়া যায়নি। এদিকে, দিল্লি পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছে।