পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের বিতর্কিত মন্তব্য দেশের রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি তিনি পাঞ্জাব প্রদেশের দেরা ঘাজী খান সফরে গিয়ে একটি দাবি করেন, যা সামাজিক এবং রাজনৈতিক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, “যদি পাকিস্তান ভারতের তুলনায় অর্থনৈতিক এবং উন্নয়নশীল ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকে, তাহলে আমার নাম শেহবাজ শরীফ আর থাকবে না।”
একটি জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় শেহবাজ শরীফ কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি তাঁর বক্তব্যের মধ্যে হাত তুলে, মাঝে মাঝে পডিয়ামে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং খুব উৎসাহিত হয়ে চেস্ট থাম্পিং করেন। তিনি বলেন, “আমরা দিন-রাত কাজ করব, যাতে পাকিস্তানের পরিস্থিতি উন্নত হয়। আল্লাহ আমাদের দেশকে সবসময় আশীর্বাদ করেছেন।” এরপর এক অদ্ভুত উত্তেজনায় তিনি আরও যোগ করেন, “যদি আমাদ প্রচেষ্টায় পাকিস্তান ভারতের থেকে পিছিয়ে থাকে, তাহলে আমি আর শেহবাজ শরীফ নামের কেউ থাকব না।”
নওয়াজ শরীফের জীবনকে শপথ করে আরও বলেন, “আমি নওয়াজ শরীফের অনুসারী। আজ আমি তার জীবনকে শপথ করে বলছি, যতদিন আমার শক্তি থাকবে, আমরা একসাথে পাকিস্তানকে মহত্বে নিয়ে যাব এবং ভারতকে পরাজিত করব।”
শেহবাজ শরীফের এই মন্তব্য পাকিস্তানের রাজনৈতিক দৃশ্যে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। পাকিস্তান বর্তমানে এক গভীর আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে এবং আন্তর্জাতিক ঋণের বোঝা অত্যন্ত ভারী। এসব কারণে, সরকার নানা কঠোর আর্থিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। শেহবাজ শরীফের এই বক্তব্যের পর সামাজিক মাধ্যমেও ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই তাঁকে “বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরে পরিস্থিতি পরিবর্তন না হওয়ায় সমালোচনা করেছেন।”
এর আগে, শেহবাজ শরীফ পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সংলাপ পুনরায় শুরু করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে, ভারত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, “সংলাপ এবং সন্ত্রাস একসাথে চলতে পারে না।” ভারত বারবার বলেছে, পাকিস্তানকে প্রথমে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করতে হবে, তারপরই কোনো ধরনের সংলাপ হতে পারে।
শেহবাজ শরীফের এই মন্তব্য পাকিস্তানে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে এবং তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সরকার এবং বিরোধী দলগুলির মধ্যে তীব্র আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে, যা শেহবাজ শরীফের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।