বিহারে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ১৯ তম পিএম-কিসান কিস্তি মুক্তি,কৃষকদের জন্য বড় ঘোষণা

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার বিহারের ভাগলপুর থেকে পিএম-কিসান সম্মান নিধি প্রকল্পের ১৯ তম কিস্তি মুক্তি করবেন। সরকারের একটি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী…

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার বিহারের ভাগলপুর থেকে পিএম-কিসান সম্মান নিধি প্রকল্পের ১৯ তম কিস্তি মুক্তি করবেন। সরকারের একটি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একটি জনসভায় অংশগ্রহণ করবেন এবং পাশাপাশি প্রতিবেশী জেলা গুলি—বাঙ্কা, বেগুসরাই, খগরিয়া, পূর্ণিয়া, কাটিহার, মাদহেপুরা, কিশনগঞ্জ, আরারিয়া, লখিষরাই, জামুই ও মুঙ্গের এর কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করবেন।

এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রায় ৯.৮০ কোটি কৃষককে ২২,৭০০ কোটি টাকা বিতরণ করবেন। যা দেশের কৃষকদের জন্য একটি বড় আর্থিক সহায়তা হবে। এই মুহূর্তে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে, এই ধরনের একটি উদ্যোগকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলা হচ্ছে।

   

প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফরের প্রস্তুতি পরিদর্শনে আসেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, যিনি রবিবার বিহারে পৌঁছান এবং সেখানে মাখনা চাষী কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি বিহারের মাখানা চাষের জন্য ‘মাখনা বোর্ড’ গঠনের ঘোষণা দেন, যা সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রস্তাবিত হয়েছে। মন্ত্রী চৌহান দাবি করেছেন, “এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশব্যাপী ৯.৮০ কোটি কৃষক পিএম-কিসান স্কিমের আওতায় সহায়তা পাবেন, যা দেশের কৃষির উন্নতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফরকে ঘিরে বিহারের ভাগলপুরে নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভাগলপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নওয়াল কিশোর চৌধুরী, এসএসপি হৃদয় কান্ত এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রধান অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা করেছেন।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক এবং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

তবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফরের দিনই বিহারে রাজনৈতিক উত্তেজনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সিমাঞ্চল-কোশী অঞ্চলের উন্নয়ন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ তুলে স্বাধীন সাংসদ রাজেশ রঞ্জন (পাপ্পু যাদব) রবিবার তার পূর্ণিয়া লোকসভা কেন্দ্র এবং আশেপাশের অঞ্চলে ‘বাঁধ’ ডাকার ডাক দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, এই অঞ্চলের উন্নয়নকে কেন্দ্র সরকার উপেক্ষা করছে। মাখানা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করতে পূর্ণিয়ায় এটি স্থাপন করার দাবিতে তিনি গর্জে উঠেছেন। যাদব হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, “প্রয়োজনে আমরা দিল্লি-পূর্ণিয়া এবং কাটিহার রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেব।”

এই রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং বিহারের কৃষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সফর উভয়ই রাজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে, এবং আগামী দিনগুলোতে এর প্রতিক্রিয়া পরিষ্কার হতে শুরু করবে।