বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষায় PIL খারিজ, মন্তব্য করতে তীব্র অস্বীকার সুপ্রিম কোর্টের

সোমবার সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশে চলমান সহিংসতার মধ্যে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা চেয়ে দায়ের করা পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন (PIL) শুনানি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। ভারতের…

Supreme Court to Hear WBBSE's Plea Regarding Cancellation of SSC Recruitment Verdict

সোমবার সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশে চলমান সহিংসতার মধ্যে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা চেয়ে দায়ের করা পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন (PIL) শুনানি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জানিয়েছে, এটি বিদেশী সম্পর্কের বিষয় এবং অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আদালত মন্তব্য করতে পারে না।

বেঞ্চের এই মন্তব্যের পর, আবেদনকারী তার আবেদন প্রত্যাহার করে নেয় এবং মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। আবেদনকারী ছিলেন লুধিয়ানার ব্যবসায়ী ও দানশীল ব্যক্তি রাজেশ ধান্ডা, যিনি জগন্নাথ রথযাত্রা মহোৎসব কমিটির চেয়ারম্যান এবং ইস্কন মন্দির স্টিয়ারিং বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান।

আবেদনে বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা এবং সহিংসতার কারণে ভারতে আগত হিন্দুদের নাগরিকত্বের আবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা বৃদ্ধি করার দাবি জানানো হয়েছিল। আবেদনকারীরা দাবি করেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চলমান নির্যাতন বন্ধ করার জন্য ভারত সরকারকে দ্রুত কূটনৈতিক বা অন্যান্য ব্যবস্থা নিতে হবে।

আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে হিন্দু, শিখ, জৈন এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি ভয়াবহ। রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিচালিত ধর্মীয় আক্রমণের কারণে তারা দেশত্যাগের উপক্রম হয়ে পড়েছে। আবেদনকারীরা আরও দাবি করেন যে, বাংলাদেশের বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

Advertisements

২০১৯ সালের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে ভারতে আগত হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্বের আবেদন গ্রহণ করা হবে। তবে চলমান সহিংসতার প্রেক্ষিতে আবেদনকারীরা কাট-অফ তারিখটি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।

এই পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন (PIL)-এ বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর চলমান সহিংসতা অত্যন্ত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিচালিত এই সহিংসতা এবং ধর্মীয় আক্রমণগুলো সংখ্যালঘুদের জীবনের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠেছে, যার ফলে তারা নিজেদের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং দেশত্যাগের পথে বাধ্য হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশে বসবাসরত হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার জন্য ভারত সরকারকে দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যাতে তারা আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকার পরিপালন করে এই নির্যাতন বন্ধ করতে পারে এবং সংখ্যালঘুদের জীবন রক্ষা করতে পারে।