কলকাতার বাজারে এই সপ্তাহে বিভিন্ন শাকসবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। যা ভোক্তাদের জন্য অস্বস্তির সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য কিছু সবজির দাম –
পেঁয়াজের দাম
বড় পেঁয়াজের দাম দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা প্রতি কেজি, আর ছোট পেঁয়াজের দাম আগের তুলনায় আরো বেশি ৭০ প্রতি কেজি।
টমেটো
টমেটোর দামও বেড়েছে। বর্তমানে, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২৪ টাকা প্রতি কেজি। যদিও এই দাম অনেকটা স্থিতিশীল হয়েছে, তবুও গরমকালে দাম বেড়ে যেতে পারে।
শসা ও গাজর
শসার দাম এখন ৩০ টাকা প্রতি কেজি, এবং গাজরের দাম ৪৬ টাকা প্রতি কেজি। গরমের মরসুমে শসার দাম আরো কম বা বেশি হতে পারে, তবে গাজরের দাম সাধারণত এই সময়ে বেশিরভাগ স্থিতিশীল থাকে।
আলু ও ক্যাপসিকাম
আলু, যা সাধারণত সস্তা থাকে, বর্তমানে ৩৮ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ক্যাপসিকামের দাম ৪৫ টাকা প্রতি কেজি। যদিও আলুর দাম কিছুটা কমলেও, ক্যাপসিকামের দাম বেড়ে গেছে।
বেগুন ও ফুলকপি
বেগুনের দাম এখন ৩৯ টাকা প্রতি কেজি এবং ফুলকপির দাম ২৬ টাকা প্রতি কেজি। ফুলকপি সাধারণত শীতকালীন সবজি হলেও, এর দাম এখন একটু বেশি হতে দেখা যাচ্ছে।
হলুদ ও আদা
হলুদ এবং আদা, যা রান্নায় অপরিহার্য উপকরণ, তাদের দামও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। হলুদের দাম ১৩৪ টাকা প্রতি কেজি, এবং আদার দাম ৬৮ টাকা প্রতি কেজি। সারা বছর এই দুটো মসলার দাম স্বাভাবিকভাবে স্থিতিশীল থাকে, তবে মরসুমের পরিবর্তনের কারণে এর দাম বাড়ে।
লেবু ও পেঁপে
লেবুর দাম ৫১ টাকা প্রতি কেজি, যা সাধারণত একটু বেশি। পেঁপের দামও কিছুটা বাড়িয়েছে। তবে, তাজা আমলাও বেচা-কেনার জন্য এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, যার দাম ৮৫ টাকা প্রতি কেজি।
এছাড়াও সবজির দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেবি কর্নের দামও বেড়েছে। বেবি কর্নের দাম বর্তমানে ৪৮ টাকা এই সবজিগুলি বেশ জনপ্রিয়, বিশেষ করে তরকারি এবং স্যালাডে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণ
এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, বিশেষত মরসুম পরিবর্তন, পরিবহন খরচের বৃদ্ধি, এবং কৃষি উৎপাদনের ওঠানামা। কিছু বিশেষ সবজি যেমন পেঁয়াজ, গাজর, শিমলা মরিচ, প্রভৃতি বর্তমানে উৎপাদনে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যার ফলে দাম বাড়ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সরকার কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে, যেমন বেশি উৎপাদন এবং সরবরাহের ব্যবস্থা করা, যাতে ক্রেতাদের জন্য দাম কিছুটা সহনশীল হয়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজারে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে উঠেছে। তবে আশা করা যাচ্ছে যে, শীঘ্রই সরকার এবং ব্যবসায়ীরা কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যাতে মূল্যবৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে আনা যায় এবং সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে।