সেনাবাহিনী যেমন দেশের সীমান্তে ভারতের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে তেমনি পুলিশ অফিসাররাও দেশের প্রতি সমান দায়িত্ব নিয়ে তাদের কাজ করে। উভয়ের কাজই হলো দেশকে শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করা।
সেনাবাহিনীতে সেনা জেনারেল এবং পুলিশ বিভাগে ডিজিপি পদটি সিনিয়র। যাইহোক, আপনি কি জানেন ভারতের সেনা জেনারেল এবং পুলিশের ডিজিপির মধ্যে পার্থক্য কী? উভয়ের কাজের ধরন, ক্ষমতা, পরিধি এবং বেতন একে অপরের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
দুই মধ্যে পার্থক্য কী
এটি লক্ষণীয় যে সেনা জেনারেল দেশের সীমান্তের নিরাপত্তার জন্য দায়ী। তারা দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য কাজ করে। একই সময়ে, আর্মি জেনারেল সরাসরি দেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট করে এবং তাদের অধীনে কাজ করে। একদিকে দেশের নিরাপত্তার জন্য সেনা জেনারেল নিয়োগ করা হয়। অন্যদিকে, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিজিপিকে (ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশ)।
ডিজিপি রাজ্যের দেখভাল করেন
রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট দেন ডিজিপি। তিনি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাদের রিপোর্টিং সরাসরি সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে। সামগ্রিকভাবে, একজন ডিজিপিকে রাজ্যের প্রতিটি কার্যকলাপের উপর নজর রাখতে হবে।
কাকে বেশি শক্তিশালী মনে করা হতো?
যদিও, আর্মি জেনারেল এবং ডিজিপি উভয় পদই তাদের নিজস্ব জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ, তবে একজন সেনা জেনারেলকে একজন ডিজিপির চেয়ে বেশি শক্তিশালী বলে মনে করা যেতে পারে। কারণ সারা দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব তাদের। সেনা জেনারেল সন্ত্রাস, সীমান্ত কার্যকলাপ এবং যুদ্ধের মতো বিষয়গুলিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য পরিচিত। যাইহোক, ডিজিপিরা শুধুমাত্র একটি রাজ্যের নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলার দিকে মনোনিবেশ করেন।
বেতনের পার্থক্য
কই সঙ্গে ডিজিপি ও আর্মি জেনারেলের বেতনের কথা বললে খুব একটা পার্থক্য থাকবে না। রিপোর্ট অনুসারে, একজন সেনা জেনারেলের মাসিক আয় হয় 2.5 লক্ষ টাকা, যেখানে একজন DGP-এর মাসিক আয় 2.25 লক্ষ টাকা। এ ছাড়া উভয়কেই সরকারি বাসস্থান, নিরাপত্তা, যানবাহন, চিকিৎসা এবং উচ্চ পর্যায়ের পেনশন দেওয়া হয়। এছাড়া সেনা জেনারেলদের ক্যান্টিন সুবিধাও দেওয়া হয়।