রবিবার হাওড়া-খড়গপুর লাইনের দেউলটি স্টেশনে রেল অবরোধ (Rail Blockade) করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা আন্ডারপাস তৈরির দাবিতে রেল লাইনের ওপর বসে পড়েন। ফলে আটকে পড়ে ৮টি এক্সপ্রেস ট্রেনসহ ৪টি লোকাল ট্রেন। যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেউলটি এবং কোলাঘাট স্টেশনের মাঝে নাচক এলাকায় সকাল ৯টার পর বিক্ষোভ শুরু হয়। এই এলাকা দিয়ে স্থানীয়রা রেল লাইন পার করে যাতায়াত করতেন। সম্প্রতি রেল কর্তৃপক্ষ সেই রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এখন তাদের অনেকটা ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে, যার ফলে নাকচ, জলপাই, ওড়ফুলি এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যা হচ্ছে।
রেল কর্তৃপক্ষ (Rail Blockade) রবিবার ওই এলাকায় লোহার বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করার কাজ শুরু করেছিল। রাস্তা বন্ধ করার প্রতিবাদে ও আন্ডারপাসের দাবিতে স্থানীয়রা রেললাইনের ওপর বসে পড়েন। এর ফলে করমণ্ডল, ধৌলি, গীতাঞ্জলি ট্রেনসহ একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। আটকে পড়ে চারটি লোকাল ট্রেনও।
এই পরিস্থিতিতে যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। খবর পেয়ে রেল কর্তৃপক্ষ ও রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলে নেন। এরপর রেল পরিষেবা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে থাকে।
মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, “ওই এলাকা থেকে একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাস্তা বন্ধ করার কাজ হচ্ছিল। বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।”
বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, দ্রুত আন্ডারপাস নির্মাণের মাধ্যমে তাদের সমস্যার সমাধান করা হোক। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রায় প্রতিদিনই তাদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়, বিশেষ করে মহিলাদের এবং বৃদ্ধদের জন্য এই পথটি একেবারেই অতিক্রম করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
এদিনের অবরোধের ফলে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হয়। বিভিন্ন এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে, যার ফলে যাত্রীদের চরম সমস্যায় পড়তে হয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে অবরোধ চললেও রেল কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করে এবং শেষ পর্যন্ত বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করে অবরোধ তুলে নেওয়া সম্ভব হয়।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, এই এলাকায় বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং রাস্তা বন্ধ করা জরুরি ছিল। তবে, বাসিন্দাদের সমস্যার সমাধান করার জন্য ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।