গোল পেলেন ডায়মান্তাকস, ফের পঞ্জাবের বিপক্ষে জয় লাল-হলুদের

গত মহামেডান ম্যাচের পর জয়ের ধারা বজায় রাখল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শনিবার বিকেলে আইএসএলের (Indian Super League) ম্যাচ খেলতে নেমেছিল…

East Bengal Triumphs 3-1 Over Punjab FC with Dimitrios Diamantakos

গত মহামেডান ম্যাচের পর জয়ের ধারা বজায় রাখল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শনিবার বিকেলে আইএসএলের (Indian Super League) ম্যাচ খেলতে নেমেছিল মশাল ব্রিগেড। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল প্যানাজিওটিস ডিলমপেরিসের শক্তিশালী পাঞ্জাব এফসির সঙ্গে। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ৩-১ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল ময়দানের এই প্রধান। বহুদিন পর আবার ও ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে গোল পেলেন দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকস। এছাড়াও গোল পান যথাক্রমে নাওরেম মহেশ সিং এবং লালচুংনুঙ্গা। অন্যদিকে পাঞ্জাব এফসির হয়ে ব্যবধান কমান ফুলগা ভিদাল।

এই ম্যাচে জয় পাওয়ার সুবাদে ২১ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের দশম স্থানে উঠে আসলো ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে, এগারো নম্বরে নামল পাঞ্জাব শিবির। বলাবাহুল্য, গত মোহনবাগান ম্যাচ থেকে একেবারেই ছন্দে ছিল না পাঞ্জাব এফসি। কলকাতা ময়দানের এই প্রধানের কাছে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর ওডিশা ম্যাচে ও আটকে যেতে হয়েছিল লুকা মাজসেনদের। তারপর চেন্নাইয়িন ম্যাচে ফের পরাজয়। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে জয়ের সরণিতে ফেরাই অন্যতম লক্ষ্য ছিল পাঞ্জাবের কাছে। কিন্তু লড়াইটা যে সহজ হবে না সেটা ভালো মতোই জানতেন ডিলমপেরিস।

   

তবে এদিন প্রথম থেকেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে নিজেদের মেলে ধরতে শুরু করেছিল লাল-হলুদ শিবির। স্বাভাবিকভাবেই গোলের মুখ খুলতে খুব একটা সমস্যা হয়নি অস্কার ব্রুজনের ছেলেদের। ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারের শেষ লগ্নে এসে গোল পান গ্ৰীক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকস। বহু প্রচেষ্টার পর গোলের দেখা পান এই তারকা ফুটবলার। প্রথমার্ধের শেষে সেই একটিমাত্র গোলেই এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই পাসিং ফুটবলের দিকে বাড়তি নজর দিয়েছিল পাঞ্জাব এফসি। তবে কাজের কাজ সেরকম কিছুই হয়নি। বরং প্রতি আক্রমণে উঠে ব্যবধান বাড়িয়ে যান ভারতীয় উইঙ্গার নাওরেম মহেশ সিং।

সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ফের গোল হজম করতে হয় ইভান নোভোসোলেকদের। এবার বল গোলে ঠেলে যান ডিফেন্ডার লালচুংনুঙ্গা। কিন্তু এত সহজে হার মানতে নারাজ ছিল আজমির সুলজিক থেকে শুরু করে পেট্রোস গিয়াকৌমাকিসরা। পরবর্তীতে ঘন ঘন আক্রমণে উঠে এসে ভিদাল ব্যবধান কমাতে সক্ষম হলেও সেটা ম্যাচে ফেরার জন্য যথেষ্ট ছিল না।