CPIM রাজ্য সম্মেলনে ‘নমস্কার-লাল সালাম’, বৃন্দা মানিক কী বার্তা দিতে চাইলেন?

দলীয় কর্মসূচি হোক বা অন্য কোনও অনুষ্ঠান CPIM এর পলিটব্যুরো সদস্য, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বরাবর নমস্কার রীতিতে অভিবাদন জানান। কখনো কখনো তাকে হাত…

CPIM

দলীয় কর্মসূচি হোক বা অন্য কোনও অনুষ্ঠান CPIM এর পলিটব্যুরো সদস্য, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বরাবর নমস্কার রীতিতে অভিবাদন জানান। কখনো কখনো তাকে হাত মুঠো করে সাংগঠনিক রীতিতে রেড স্যালুট দিতে দেখা যায়। তবে গত কয়েকবছরে তিনি প্রণাম জানাতেই অভ্যস্থ। কেন তিনি এমন করেন এ বিষয়ে তার প্রকাশ্য কোনও কৈফিয়ত নেই। মানিক বাবুকে প্রশ্ন করার মতো ক্ষমতা সিপিআইএমে যার আছে সেই বিমান বসু ধ্রুপদী রীতিতে রেড স্যালুট বা লাল সালামেই বেশি স্বচ্ছন্দ।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) হুগলি জেলার ডানকুনিতে সিপিআইএমের ২৭ তম রাজ্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মানিক সরকার তার নিজস্ব নিয়মে নমস্কারে অনড় থাকলেন। আর বিমান বসু থাকলেন লাল সালাম দিলেন।

   

তবে চমক দিলেন দলটির পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাত। তিনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে প্রণাম ও লাল সালাম পরপর দিলেন। বিশ্লেষণে উঠে আসছে তিনি দুই রীতি বজায় রাখতে চান।

কমিউনিস্ট পার্টির রীতি অনুসারে বিশ্বের সর্বত্র মুঠো হাত তুলে রেড স্যালুটের রেওয়াজ আছে। সেই রীতি ভারতেও চলে। সিপিআইএম, সিপিআইসহ বিভিন্ন বামপন্থী দল একই রীতিতে লাল সালাম দেয়

উল্লেখ্য, সিপিআইএমের মধ্যে সাংগঠনিক অভিবাদন রীতির প্রথম ব্যাতিক্রমী প্রয়োগকারী ত্রিপুরা রাজ্য পার্টি।আগরতলায় সিপিআইএমের বিভিন্ন সাংগঠনিক মঞ্চে মানিক সরকারকে লাল পতাকাকে প্রনাম করতে দেখা গেছে আগেই। তিনি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন লাল সালামেই সাবলীল ছিলেন বলে জানা গেছে। মানিকবাবুর এমন প্রনাম রীতি প্রকট হয়েছে গত ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় বামফ্রন্টের টানা আড়াই দশকের শাসন শেষ হবার পর। তখন মু়খ্যমন্ত্রী থেকে মানিকবাবু হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা।

সিপিআইএমে আলোচনা, ত্রিপুরায় সরকার হারানোর পর থেকে মানিক সরকার প্রনামে জোর দিয়েছেন। তবে বারবার ক্ষমতা পরিবর্তনে অভ্যস্থ থাকা কেরলের সিপিআইএম নেতারা লাল সালামে মজে আছেন।