জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) সিপিআই (মাওবাদী) এর মগধ জোন পুনর্গঠন এবং শক্তিশালী করার চেষ্টার ক্ষেত্রে আরও একজনকে অভিযুক্ত করেছে। এ বিষয়ে এনআইএ বিশেষ আদালতে তৃতীয় চার্জশিট দাখিল করেছে, যেখানে বিহারি পাসওয়ান, যিনি সিপিআই (মাওবাদী) এর উত্তর বিহার মধ্য জোনাল কমিটির সদস্য, তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বিহারি পাসওয়ান, যাকে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে গ্রেফতার করা হয়, তাকে বিভিন্ন ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি) এবং অবৈধ কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপি) এর বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ। এই মামলায় গ্রেফতার এবং চার্জশিট করা হয়েছে মোট চারজনকে।
এনআইএ তদন্তে জানা গেছে যে, বিহারি পাসওয়ান আইইডি (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) তৈরিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন। তিনি অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে মাওবাদী কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন, যা ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা বিঘ্নিত করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। প্রথমে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত প্রমোদ মিশ্র (পলিট ব্যুরো সদস্য) এর নির্দেশে, বিহারি পাসওয়ান সিপিআই (মাওবাদী) এর উপস্থিতি আরো শক্তিশালী করতে বেগুসরাই-খাগাড়িয়া অঞ্চলে তৎপর ছিলেন। তিনি প্রমোদ মিশ্র এবং অন্যান্য নেতাদের জন্য লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করতেন এবং নিষিদ্ধ সংগঠনের জন্য তহবিল সংগ্রহের কাজও করতেন, বিশেষ করে ইট ভাটা মালিক এবং অন্যান্য ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে লেভি (টাকা) সংগ্রহের মাধ্যমে।
গ্রেফতারির সময়, এনআইএ বিহারি পাসওয়ানের কাছ থেকে সিপিআই (মাওবাদী) সংক্রান্ত মোবাইল ফোন এবং চিঠি উদ্ধার করে। এই মামলার সূত্রপাত হয় ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে গয়া জেলার টেকারি থানায় সিপিআই (মাওবাদী) এর দুই শীর্ষ নেতার গ্রেফতারের পর। তাদের কাছ থেকে নকশাল সাহিত্যের বই, হাতে লেখা চিঠি এবং সাতটি মেমরি কার্ড উদ্ধার করা হয়। এরপর এনআইএ তদন্ত হাতে নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে মামলাটি পুনরায় রেজিস্টার করে এবং প্রমোদ মিশ্র, অনিল যাদব, এবং বিনোদ মিশ্রসহ তিনজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত চলছে এবং এর সঙ্গে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ঘাটিত হতে পারে।