প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে, বিহারে অনুষ্ঠিত হবে “রাষ্ট্রীয় কিষাণ সম্মান সমারোহ” অনুষ্ঠানে পিএম-কিষাণ যোজনার ১৯তম কিস্তি প্রকাশিত হবে। এই উপলক্ষে, ২৪ ফেব্রুয়ারি, গুজরাতের গান্ধীনগরে রাজ্যস্তরের “কিষাণ সম্মান সমারোহ” আয়োজিত হবে, যার সভাপতিত্ব করবেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী রাঘবজি পটেল এবং কৃষি বিষয়ক মন্ত্রী রাজ্য মন্ত্রী বাচুবাই খাবাদ উপস্থিত থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই অনুষ্ঠানে কৃষকদের উদ্দেশ্যে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন।
কৃষিমন্ত্রী রাঘবজি পটেল জানিয়েছেন যে, পিএম-কিষাণ যোজনার ১৯তম কিস্তির অধীনে সারা দেশে ৯.৭ কোটি কৃষককে ২২,০০০ কোটি টাকারও বেশি আর্থিক সহায়তা সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করা হবে। এর মধ্যে, গুজরাতে ৫১.৪১ লাখ কৃষক পরিবারকে ১,১৪৮ কোটি টাকারও বেশি সহায়তা প্রদান করা হবে। রাজ্য স্তরের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী নতুন প্রযুক্তি নিয়ে সজ্জিত “কৃষি প্রবৃদ্ধি-কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার”কে ই-উদ্বোধন করবেন, যা গান্ধীনগরের কৃষি ভবনে স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া, মুখ্যমন্ত্রী গোটা রাজ্যে পিঁয়াজি মসুর (Tur) এর এমএসপি (ন্যূনতম সহায়ক মূল্য) থেকে সংগ্রহ শুরু করবেন। কৃষি মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য কৃষি যোজনার উপকারভোগী, অগ্রগামী কৃষক এবং পুরস্কৃত কৃষকদের সম্মানিত করা হবে।
এছাড়াও, “কিষাণ সম্মান সমারোহ” অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে গুজরাতের প্রতিটি জেলায়, যার মধ্যে গ্রামীণ এলাকা এবং ৩০টি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই অনুষ্ঠানগুলি জাতীয় এবং রাজ্য স্তরের ইভেন্টের সম্প্রচার লাইভ দেখানো হবে। অনুষ্ঠানে অফিসিয়ালরা, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা এবং ২.৫ লাখেরও বেশি কৃষক অংশগ্রহণ করবেন। এর পাশাপাশি, স্থানীয় মেলা বা প্রদর্শনীতে কৃষক উৎপাদিত প্রাকৃতিক পণ্য এবং কৃষক উৎপাদিত পণ্যও প্রদর্শিত হবে।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, পিএম-কিষাণ যোজনার অধীনে, সারা দেশে ১১ কোটি কৃষক পরিবার ১৮টি কিস্তির মাধ্যমে মোট ৩.৪৬ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। গুজরাতে, ১৮টি কিস্তির মাধ্যমে কৃষকরা মোট ১৮,৮১৩ কোটি টাকারও বেশি সহায়তা সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পেয়েছেন। এদিনের অনুষ্ঠানে কৃষকদের জন্য সরকারের সহায়তা এবং উন্নয়নের আরও পদক্ষেপের কথা বলা হবে, যা গুজরাতের কৃষি খাতের সমৃদ্ধিতে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।