তেলেঙ্গানার নাগারকর্ণুল জেলায় শ্রীসৈলম বাঁধের কাছে একটি নির্মাণাধীন সুরঙ্গ ধসে পড়ে অন্তত ৩০ জন শ্রমিক আটকে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। শনিবার দুর্ঘটনাটি ঘটে এবং এখন পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। সুরঙ্গের এক অংশ ধসে পড়ার ফলে সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রীসৈলম বাঁধের পিছনে নির্মাণাধীন শ্রীসৈলম বাম তট খাল প্রকল্পের সুরঙ্গটি ধসে পড়ে। এক বিশেষ সুরঙ্গের ছাদ ধসে পড়ে ১৪ কিলোমিটার পয়েন্টে, যার ফলে সেখানকার শ্রমিকদের আটকে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে তিন মিটার দীর্ঘ অংশ ধসে পড়েছে এবং এতে বেশ কিছু শ্রমিক আহত হয়েছে।
ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছাতে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভন্ত রেড্ডি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর তিনি ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য হেলিকপ্টার পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়, “শ্রীসৈলম বাঁধের কাছে সুরঙ্গের ধসে ৩০ জন শ্রমিক আটকে পড়ার খবর পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর নির্দেশ দেন। জেলা কালেক্টর, পুলিশ সুপার, দমকল বাহিনী, হাইড্রা এবং সেচ বিভাগকে দ্রুত উদ্ধার কাজ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন এবং দমকল বাহিনী উদ্ধার কাজ শুরু করেছে এবং শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা তৎপরভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সুরঙ্গের ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য বিপুল সংখ্যক উদ্ধারকর্মী ঘটনাস্থলে কাজ করছে।
প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, নির্মাণাধীন সুরঙ্গের ধসের ফলে বেশ কিছু শ্রমিক আহত হয়েছে এবং আটকে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধার কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য সেচ, হাইড্রা, দমকল এবং পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। অন্যদিকে সুরঙ্গ ধসের কারণ খুঁজে বের করতে একটি বিশেষ দলও পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানও সুরঙ্গের অবস্থা পর্যালোচনা করতে একটি বিশেষ দল পাঠিয়েছে, যাতে তারা আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রী রেভন্ত রেড্ডি এই দুর্ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “যত দ্রুত সম্ভব শ্রমিকদের উদ্ধার করা হবে এবং তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। আমি সকল কর্মকর্তাকে তত্পরতা বজায় রাখতে বলেছি।”
এছাড়া সুরঙ্গ ধসের পর দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার জন্য বিশেষভাবে তৈরি একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং উদ্ধার কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ করছে। মুখ্যমন্ত্রী রেভন্ত রেড্ডি দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ঘটনায় নির্মাণ কাজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুরঙ্গের নির্মাণের সময় আরও সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত ছিল, কারণ সুরঙ্গের ছাদ ধসে যাওয়ার পর শ্রমিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ে। স্থানীয় প্রশাসন এবং নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এখনো ঘটনাটির তদন্ত করছে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে চায়।
তেলেঙ্গানার শ্রীসৈলম বাঁধের কাছে সুরঙ্গ ধসের ঘটনায় আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার কাজ চলছে। সরকার এবং উদ্ধারকর্মীরা তৎপরভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করা যাচ্ছে শীঘ্রই সকল শ্রমিককে উদ্ধার করা হবে এবং তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।