পাঞ্জাবে ট্র্যাভেল এজেন্টদের জালিয়াতি, অবৈধ অভিবাসনে লুকিয়ে বিপুল অর্থের খেলা

পাঞ্জাবের অমৃতসর বিমানবন্দরে বিমানে করে নির্বাসিত ভারতীয় নাগরিকদের ফেরার ঘটনায় আবারও আলোচনায় এসেছে মানব পাচারকারী এবং সন্দেহজনক ট্র্যাভেল এজেন্টদের অন্ধকার জগত। এই এজেন্টরা অবৈধ অভিবাসনকে…

punjab-travel-agents-fraud-illegal-immigration-money-game

পাঞ্জাবের অমৃতসর বিমানবন্দরে বিমানে করে নির্বাসিত ভারতীয় নাগরিকদের ফেরার ঘটনায় আবারও আলোচনায় এসেছে মানব পাচারকারী এবং সন্দেহজনক ট্র্যাভেল এজেন্টদের অন্ধকার জগত। এই এজেন্টরা অবৈধ অভিবাসনকে সহজ করে বিপুল অর্থ উপার্জন করছে। জলন্ধরের মতো অভিবাসন কেন্দ্রগুলিতে এই বহু-মিলিয়ন ডলারের শিল্পের কার্যকারিতা উন্মোচিত হয়েছে, যেখানে এজেন্টরা স্টাডি ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট থেকে শুরু করে স্থায়ী বসবাসের আবেদন পর্যন্ত পরিষেবা প্রদান করে থাকে।

এই এজেন্টরা সাধারণত উচ্চ আশা ও স্বপ্ন দেখিয়ে মানুষকে প্রলুব্ধ করে। তারা বিদেশে পড়াশোনা, চাকরি বা স্থায়ী বসবাসের সুযোগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে। তবে, এই প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে তারা অত্যধিক ফি আদায় করে এবং অনেক ক্ষেত্রে নথিপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ পথে বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করে।

   

জলন্ধরে এই ধরনের এজেন্টদের কার্যকলাপ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই এজেন্টরা সাধারণত যুবক ও যুবতীদের লক্ষ্য করে, যারা বিদেশে ভালো জীবনের স্বপ্ন দেখে। তারা নানান প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ আদায় করে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনেকেই প্রতারিত হন এবং বিদেশে গিয়ে সমস্যায় পড়েন।

এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এই এজেন্টরা মানুষকে বিদেশে পাঠানোর নাম করে লাখ লাখ টাকা আদায় করে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে তারা ভুয়া নথিপত্র তৈরি করে, যা পরে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকেই বিদেশে গিয়ে আটকা পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত নির্বাসিত হন।”

এই ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রশাসনের তরফ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, এই এজেন্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এই সমস্যা আরও বাড়বে।

এদিকে, অমৃতসর বিমানবন্দরে নির্বাসিত ভারতীয় নাগরিকদের ফেরার ঘটনায় এই সমস্যা আবারও আলোচনায় এসেছে। অনেকেই জানান, তারা এই এজেন্টদের প্রতারণার শিকার হয়ে বিদেশে গিয়েছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত নির্বাসিত হয়েছেন।

এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের তরফ থেকে কঠোর নজরদারি ও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা চান, এই ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ করতে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিক।