ভারতে AI দ্বারা ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তের গ্রহণ ক্ষমতা ৫৪% বৃদ্ধি পেয়েছে-রিপোর্ট

এআই ভারতের ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। এবং ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী দিনে দ্রুত এর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করতে প্রস্তুত হবে বলে সম্প্রতি নতুন…

এআই ভারতের ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। এবং ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী দিনে দ্রুত এর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করতে প্রস্তুত হবে বলে সম্প্রতি নতুন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এই প্রতিবেদনটি প্রোটিভিটি এবং কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি-এর যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল “AI Trends and Future Impact: Industry Adoption and Insights”, যা গত শুক্রবার সিআইআই-এর চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলন “এআই ইন্ডিয়া শো ২০২৫”-এ উন্মোচিত হয়েছে। প্রতিবেদনটির তথ্য অনুযায়ী, ৫৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে যে তারা এআই গ্রহণের জন্য প্রস্তুত এবং ৩৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠান প্রথম পর্যায়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

   

এআই সরকারিভাবেই একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উঠে এসেছে। কারণ মাত্র ২৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠান এআই নীতি ও শাসন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করেছে। তবে ৪০ শতাংশের বেশি প্রতিষ্ঠান বাইরের এআই অডিট এবং পক্ষপাতমূলক মূল্যায়নের জন্য প্রস্তুত।

প্রতিবেদনটির বিশ্লেষণে বলা হয়, ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এআই গ্রহণের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হল:

১. কার্যক্রমের দক্ষতা বৃদ্ধি

২. গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নতি

৩. সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা বৃদ্ধি

এই তিনটি উদ্দেশ্যই এআই প্রযুক্তির প্রতি বিনিয়োগকে ত্বরান্বিত করছে। সেই সাথে, পেডিকটিভ এআই, চ্যাটবট এবং মেশিন লার্নিং এআই প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে সর্বাধিকভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। যেখানে জেনারেটিভ এআই এবং এজেন্টিক এআই ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রযুক্তি হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।

তবে প্রতিবেদনটি ভারতের এআই গ্রহণে কিছু বাধা চিহ্নিত করেছে, যার মধ্যে প্রধান চ্যালেঞ্জগুলি হল:

১. নৈতিক উদ্বেগ এবং পক্ষপাতিত্বের ঝুঁকি

২. বিশেষজ্ঞ এআই কর্মীর অভাব

৩. উচ্চ বাস্তবায়ন খরচ

৪. ডেটা গোপনীয়তা এবং শাসন সমস্যা

এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৬৫-৭০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান মনে করছে যে তারা ডেটা, কৌশল এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে এআই গ্রহণের জন্য প্রস্তুত, তবে, মাত্র ২৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানই এআই নীতি ও শাসন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করেছে।

সিআইআই-প্রোটিভিটি রিপোর্ট আরও জানিয়েছে, এআই উদ্যোগে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ৩৬ শতাংশ ব্যবসায়িক নেতা মনে করছেন একটি ‘চিফ এআই অফিসার’ থাকা উচিত, এবং ১৮ শতাংশ নেতা শেয়ার্ড দায়িত্বের ওপর জোর দিচ্ছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ভারতীয় প্রতিষ্ঠানে জেনারেটিভ এআই এবং ল্যাঙ্গুয়েজ লার্নিং মডেল প্রযুক্তি নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। এবং আর্থিক পরিষেবা খাত এআই গ্রহণে নেতৃত্ব দিচ্ছে, যেখানে ৮৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান এই প্রযুক্তি গ্রহণের পরিকল্পনা করছে।

প্রোটিভিটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অমিত লুন্ডিয়া বলেছেন, “এআই বিশ্বকে নতুন করে রূপান্তরিত করছে এবং ভারত এই পরিবর্তনের অগ্রভাগে রয়েছে। ডিজিটাল গ্রহণের মাধ্যমে, ব্যবসাগুলো দ্রুত এআই প্রযুক্তি গ্রহণ করছে, যা অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে সহায়ক হচ্ছে।”

পোর্টিভিটির সদস্য পরিচালক সানদীপ গুপ্ত বলেন, “এআই আরও কম খরচে প্রভাব ফেলছে, এবং এর রূপান্তরকারী প্রভাব বিভিন্ন শিল্পে উদ্ভাবন সৃষ্টি করবে।”

এআই গ্রহণের ক্ষেত্রে ভারতের ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ তুলে ধরে প্রতিবেদনটি বলছে। আগামী পাঁচ বছরে ব্যবসায়িক উদ্ভাবন, খরচ কমানো, এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা আরও দ্রুত উন্নতি করবে।