বঙ্গজ CPIM অভ্যন্তরে ভূমিকম্প আশঙ্কা, ডানকুনিতে সেলিমকে ঘিরে দড়ি টানাটানি

পরপর বিপর্যয়ে CPIM রাজ্য সম্মেলনে নেতৃত্বের দড়ি টানাটানি তুঙ্গে উঠতে চলেছে। রাজ্য নেতৃত্বের আশঙ্কা সম্মেলনের রুদ্ধদ্বার কক্ষেই বাদানুবাদের পরিস্থিতি তৈরি হবে। সেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঢাল…

CPM's Strong Allegations Against TMC in Sexual Harassment and Theft Incident

পরপর বিপর্যয়ে CPIM রাজ্য সম্মেলনে নেতৃত্বের দড়ি টানাটানি তুঙ্গে উঠতে চলেছে। রাজ্য নেতৃত্বের আশঙ্কা সম্মেলনের রুদ্ধদ্বার কক্ষেই বাদানুবাদের পরিস্থিতি তৈরি হবে। সেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঢাল হয়ে নামছেন বর্ষীয়ান বিমান বসু। তিনি দলীয় রাজ্য কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য। বিমানবাবুর উপস্থিতি কি আগুনে জল ঢালা সম্ভব এই প্রশ্ন ঘুরছে বঙ্গজ বাম শিবিরে।

Advertisements

২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার সিপিআই(এম) রাজ্য সম্মেলন শুরু হচ্ছে ডানকুনিতে। সম্মেলন চলবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ওই দিনই হবে সমাবেশ। সম্মেলন উপলক্ষে গোটা ডানকুনি শহর লাল পতাকায় মোড়া। হুগলি জেলা সিপিআইএম নেতৃত্বের দায়িত্বে দলটির রাজ্য সম্নেলন।

   

রাজ্যে গত ২০১১ সালে টানা সাড়ে তিন দশকের বামফ্রন্ট জমানার পতন হয়। তারপর থেতে সিপিআইএমের রক্তক্ষরণ চলছেই। রাজ্য সম্পাদক হিসেবে মহম্মদ সেলিম দলকে চাঙ্গা করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন। তবে দলটির সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির প্রয়াণের পর গুঞ্জন এবার সেলিমকে দিল্লিতেই ঠেলে দিতে তৈরি তার বিরোধী গোষ্ঠী। আলোচনায় উঠে আসছে সেক্ষেত্রে পাল্লা ভারী হতে চলেছে সুজন চক্রবর্তীর।

এদিকে সিপিআইএমের নেতৃত্ব দলের রাজ্য সম্পাদক পদে নতুন প্রজন্মের মুখ আনতে পারেন বলে চর্চা। বাম জমামায় দলটির বর্ধমান লবি ছিল রাজ্য কমিটির অলিখিত নিয়ন্ত্রক। সেই নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে উত্তর ২৪ পরগনা ও কলকাতা লবির ঘরে। সেখানে সেলিমের পক্ষে সওয়াল করার নেতা কম। অ়ভিযোগ, তিনি কিছু চটকদারি চাল চেলেছিলেন। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্থ। এতে অস্বস্তিতে সেলিম।

শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিশ্লেষণ, ক্ষমতাচ্যুত হবার পর ঝিমিয়ে পড়া সিপিআইএমের সাংগঠনিক তৎপরতা কিছু মাত্রায় বেড়েছে মহম্মদ সেলিমের আমলে। কিন্তু আসন জয়ের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। রাজ্যবাসী আর বাম শাসন চাইছেন না। তবে ঠারেঠোরে তৃণমূল শিবির স্বীকার করেছে, রাজ্য থেকে বিধানসভা ও লোকসভায় শূন্য হয়ে যাওয়া সিপিআইএমের যুব নেতৃত্বের উত্থান চমকপ্রদ। মীনাক্ষী মুখার্জির আন্দোলনের মধ্যে মমতার সঙ্গে কিছু মিল পাচ্ছেন তৃণমূলের পোড় খাওয়া নেতৃত্ব।

Advertisements

গত কয়েকটি নির্বাচনে বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসা বিজেপির বিশ্লেষণ ক্যাডার ভিত্তিক দলের চরিত্র এখনো ধরে রেখেছে সিপিআইএম। তবে রাজ্যবাসী তৃণমূল শাসনে জেরবার হয়ে বিজেপিকেই বেছে নিচ্ছেন তার প্রমাণ ভোট শতাংশ। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে পারেনি সিপিআইএম। গেরুয়া শিবিরের বিশ্লেষণে উঠে আসছে, বাম শিবিরে নেতৃত্ব সংকট।

কংগ্রেসের বিশ্লেষণ, বারবার জোট শরিকের সূত্র লঙ্ঘন করলেও ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির মঞ্চে সিপিআইএম পাশে আছে। দলটির সাংগঠনিক কাঠামো অটুট