টাইগার বধের অভিযানে ব্যর্থ ‘কিং-কোহলি’

২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শেষবারের মতো বাংলাদেশ ও ভারত যখন মুখোমুখি হয়েছিল, তখন বিরাট কোহলি (Virat Kohli) তার অমূল্য ৯৮ রান দিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ…

Virat Kohli Struggles Against Bangladesh

২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শেষবারের মতো বাংলাদেশ ও ভারত যখন মুখোমুখি হয়েছিল, তখন বিরাট কোহলি (Virat Kohli) তার অমূল্য ৯৮ রান দিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এই আসরে দেখা মিলল অন্য ছবির। বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করেছে টিম ইন্ডিয়া।

বৃহস্পতিবারের ম্যাচে টাইগার্সদের বিরুদ্ধে পুরনো ফর্মে নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হলেন বিরাট কোহলি, দেখা গেল না সেই চেনা কভার ড্রাইভ। এদিন তার ব্যাট থেকে আসেনি কোনো বড় ইনিংস, বরং মাত্র ২২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছেন তিনি। আর তার ব্যাটিং পারফরম্যান্সের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের বিরুদ্ধে তার অস্বস্তি এবং হারের মুখ।

   

Virat Kohli's Return to Ranji Trophy

বাংলাদেশি স্পিনার রিশাদ হোসেনের বিরুদ্ধে কোহলি শুরু থেকেই ব্যাটে সঠিক টাইমিং এবং শট খুঁজে পাচ্ছিলেন না। ৩৮ বল খেলে কোহলি মাত্র একটি বাউন্ডারি নিতে পেরেছিলেন, যা তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সঙ্গে মোটেও সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। ২২.৪ ওভারে, কোহলি কব্জির মোচড়ে একটি লেট কাট করার চেষ্টা করেন, কিন্তু তার শরীরের পুরো ওজন ছিল পিছনের দিকে, যা শটটির পেছনে প্রয়োজনীয় শক্তি কমিয়ে দেয়। ফলস্বরূপ, বলটি চলে যায় ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের দিকে এবং সৌম্য সরকার সহজেই ক্যাচ ধরেন।

এদিন কোহলির ব্যাটিংয়ে কোনো ঝলক ছিল না এবং তিনি মনে হচ্ছিলেন যেন নিজের উইকেটটাই নিজে ছুড়ে দিয়েছেন। ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকরা ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছেন, কোহলি কোনোভাবেই সঠিক শট খেলতে পারলেন না এবং তার এই অস্বস্তি স্পষ্ট ছিল। ভারতীয় দলের জন্য যা ছিল এক বড় ধাক্কা, কারণ কোহলি ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

বিশ্ব ক্রিকেটের এক নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে কোহলির এই পারফরম্যান্স এবং তার ব্যাটিংয়ের খোলসা না হওয়া, অবশ্যই ভারতের জন্য একট চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বলছেন, কোহলি যদি স্পিনের বিরুদ্ধে একইরকম সমস্যা সৃষ্টির মুখোমুখি হন, তাহলে তার ব্যাটিংয়ের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।