ISF-এ ভাঙন, ভাঙড়ে ৫০০ নেতা-কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে

ভাঙড়ে আইএসএফে (ISF-TMC) ভাঙন দেখা দিয়েছে। ৫০০ জন নেতা-কর্মী আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। এই ঘটনা ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। রাজনৈতিক…

Trinamool MP Issues Public Warning to Party Traitors, Calls for Isolation; BJP Criticizes

ভাঙড়ে আইএসএফে (ISF-TMC) ভাঙন দেখা দিয়েছে। ৫০০ জন নেতা-কর্মী আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। এই ঘটনা ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলে অনেকেই মনে করছেন, এই যোগদান তৃণমূলের শক্তি বাড়াতে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। পোলেরহাট ২ অঞ্চলের প্রায় ৫০০ জন কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

বুধবার সন্ধ্যায় পাকাপোলের একটি অনুষ্ঠানে এই যোগদান ঘটেছে। আইএসএফ অঞ্চল সভাপতি আব্বাস মোল্লা, যারা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার নেতৃত্বে এই কর্মীরা তৃণমূলে যোগদান করেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন খাইরুল ইসলাম, মহাসিন গাজী সহ অন্যান্য নেতারা।

   

তৃণমূলে যোগদানকারী নেতারা জানিয়েছেন, তারা কাউকে ভয় দেখিয়ে বা চাপে পড়ে যোগ দেননি। বরং তৃণমূলের উন্নয়নের প্রতি আস্থা রেখেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আব্বাস মোল্লা জানান, ‘আমরা স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছি, কারণ তৃণমূল সরকার মানুষের জন্য কাজ করছে।’

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেছিলেন, ‘পোলেরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েত একত্রে কাজ করবে, তৃণমূল শক্তিশালী হবে।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমরা জানি যে, তৃণমূলের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য মানুষ আমাদের পাশে থাকবে।’

তবে আইএসএফের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি এই বিষয় নিয়ে একাধিক মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, যারা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তাদেরকে ভয় দেখিয়ে যোগদান করানো হয়েছে। সিদ্দিকি বলেন, ‘তৃণমূলে যোগদান করা কর্মীরা যে সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা শুধু ভয় দেখানো থেকে হয়েছে, কিন্তু ভোটের সময় তাদের সমর্থন আইএসএফকেই দেওয়া হবে।’

এছাড়া, সিদ্দিকি আরও বলেন, ‘লোকসভা ভোটের পর ভাঙড়ে অনেক আইএসএফ সমর্থক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, কিন্তু তাতে কোনও পার্থক্য আসবে না। ভোটের সময় আবারও মানুষ আইএসএফকেই সমর্থন করবে।’

শওকত মোল্লা তৃণমূলের প্রতি আস্থা রেখে বলেন, ‘ভাঙড়ে তৃণমূল বিপুল ভোটে জয়ী হবে। যারা বিভিন্ন রকমের গুজব ছড়াচ্ছেন, তাদের কথা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘ভোটে মানুষের মতামতই আসল, আর মানুষ উন্নয়ন এবং ভালো কাজের জন্য তৃণমূলকেই সমর্থন করবে।’

এই যোগদান রাজ্য রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হতে পারে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বে আশাবাদী যে, এই ধরনের যোগদান দলের শক্তি আরও বৃদ্ধি করবে। তবে আইএসএফ নেতারা যে তৃণমূলে যোগদানকে সমালোচনা করছেন, তা রাজনীতিতে আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।

বিভিন্ন এলাকার আইএসএফ সমর্থকদের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা একমত যে, এটা রাজ্যের রাজনীতির পটভূমিতে একটি বড় পরিবর্তন হতে পারে। যদিও আইএসএফের কিছু নেতা তৃণমূলে যোগদানকারী কর্মীদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তবুও তৃণমূল আশা করছে যে, এই ধরনের দলবদলের প্রভাব তাদের কাছে ইতিবাচক হতে পারে।

আইএসএফ ও তৃণমূলের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক পালাবদল সৃষ্টি হয়েছে। তবে, ভোটের মাঠে কারা শেষ পর্যন্ত জনগণের সমর্থন পাবে, তা সময়ই বলে দেবে।