‘লিখে রাখুন বিরোধী দলনেতার পদটাই থাকবে না’, ভবিষ্যদ্বাণী কুণালের

বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট৷ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বড় ভবিষ্যদ্বাণী করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ৷ তাঁর দাবি, বিরোধী দলনেতা পদে…

Kunal

বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট৷ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বড় ভবিষ্যদ্বাণী করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ৷ তাঁর দাবি, বিরোধী দলনেতা পদে শুভেন্দু অধিকারী আর থাকবেন না। নন্দীগ্রামে হারবেন তিনি৷ সেই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন৷ ২০২৬ সালে বিজেপিরও বিরোধী দলনেতার পদ পাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই।

বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল ঘোষ বলেন, “লিখে রাখুন, ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল আবারও ক্ষমতায় আসবে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তিনি ভবানীপুর থেকে জয়ী হবেন এবং নন্দীগ্রামে মমতার মন্ত্রীসভায় তৃণমূলের কোনও বিধায়ক থাকবেন। শুভেন্দু অধিকারী পরাজিত হবেন। বিজেপি ২০২৬ সালে বিরোধী দলনেতার পদও দখল করতে পারবে না।”

   

কুণাল ঘোষের বক্তব্যের মধ্যে ছিল এক ধরনের আত্মবিশ্বাস, যা তৃণমূলের জয় এবং বিরোধী দলের পরাজয় নিশ্চিত বলে দাবি করেছিল। তিনি আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে একমাত্র নেতৃত্ব, যিনি জনগণের কাছে প্রিয়। বিজেপির পক্ষে ২০২৬ সালে কোনো উল্লেখযোগ্য আসন জেতা সম্ভব নয়। বিরোধী দলনেতার পদও তারা পাবেন না।”

এদিকে, কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “কুণাল ঘোষ যা বলেন, তার কোনো ভিত্তি থাকে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকাল সর্বদা বিতর্কিত ছিল। সারদা কেলেঙ্কারি এবং অন্যান্য দুর্নীতির ঘটনায় তার সরকারের ভূমিকা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠেছে। কুণালের বক্তব্যের মধ্যে কোনো গুরুত্ব নেই, কারণ তার কথার কোনো বাস্তবতা নেই।”

তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে এই তীব্র বাকযুদ্ধ চলাকালীন, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের রাজনৈতিক বাতাবরণ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তৃণমূলের নেতা কুণাল ঘোষ যেমন তৃণমূলের জয় এবং শুভেন্দুর পরাজয়কে নিশ্চিত বলে দাবি করেছেন, তেমনই বিজেপির পক্ষ থেকেও এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া আসছে।