বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হাঁটু গেড়ে ক্ষমা চাইতে চ্যালেঞ্জ জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে কুণাল ঘোষ শুভেন্দুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে বলেন, “যদি শুভেন্দু অধিকারী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে জঙ্গি যোগের কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারেন, তাহলে তাঁকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হাঁটু গেড়ে ক্ষমা চাইতে হবে।”
কুণাল ঘোষ আরও বলেন, “এটা কোন রাজনৈতিক বক্তব্য নয়, বরং এটা দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণ আন্দোলনের অংশ।” তিনি স্পষ্ট করে জানান যে, শুভেন্দু অধিকারী যদি মিথ্যাচারের মাধ্যমে মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে থাকেন, তাহলে তাঁকে প্রমাণ দিয়ে তাঁর অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে হবে। অন্যথায়, জনগণের কাছে তার দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে। কুণাল ঘোষ দাবি করেন, শুভেন্দু অধিকারী শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করার জন্য মিথ্যা প্রচার করছেন, এবং এর পেছনে কোনো সঠিক প্রমাণ নেই।
কুণাল ঘোষ বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী মিথ্যাচারের মাধ্যমে রাজ্য সরকার এবং মমতা ব্যানার্জিকে দোষী সাব্যস্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি ও তার দল মূলত জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে। তাদের কাছে কোনো প্রমাণ নেই। তবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে তারা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে।”
এই মন্তব্যের পর শুভেন্দু অধিকারী বা তার দলের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, কুণাল ঘোষের তীব্র আক্রমণ এবং তার দেওয়া ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা রাজ্য রাজনীতিতে নতুন এক রূপরেখা তৈরি করতে পারে।
এছাড়াও, কুণাল ঘোষ আরও বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী যদি মিথ্যা অভিযোগের জন্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা না চান, তাহলে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত হবে প্রশ্নবিদ্ধ। তাঁর এই অপবাদ রাজ্যের মানুষের প্রতি অবমাননাকর এবং তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন।”
এদিকে, কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষত, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের এই কঠোর অবস্থান রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। কুণাল ঘোষের বক্তব্যে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ দেখা গেছে, যা আগামী দিনে আরও রাজনৈতিক বিতর্ক উত্থাপন করতে পারে।