SBI-এর গবেষণায় ভারতীয় জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬.৩ শতাংশ!

স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (SBI) তাদের সাম্প্রতিক গবেষণায় পূর্বাভাস দিয়েছে যে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধির হার ৬.৩ শতাংশ হতে পারে। এসবি…

sbi-research-india-gdp-growth-estimated-at-6-3-percent

স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (SBI) তাদের সাম্প্রতিক গবেষণায় পূর্বাভাস দিয়েছে যে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধির হার ৬.৩ শতাংশ হতে পারে। এসবি আইয়ের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর (NSO) পূর্ববর্তী প্রথম এবং দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের পূর্বাভাসে বড় কোনো সংশোধনী না আনে, তবে এই বৃদ্ধির হার ৬.৩ শতাংশ হবে। প্রতিবেদনে ৩৬টি উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি সূচকের ভিত্তিতে তৃতীয় ত্রৈমাসিকের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬.২ শতাংশ থেকে ৬.৩ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে অনুমান করা হয়েছে।

NSO-এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ভারতের প্রকৃত এবং নোমিনাল জিডিপি বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ৬.৪ শতাংশ এবং ৯.৭ শতাংশ হবে। এটি ভারতের অর্থনীতির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত, যেখানে বিভিন্ন খাতে মন্দাভাব সত্ত্বেও অবিচ্ছিন্ন প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।

   

SBI-এর প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, একটি স্বাস্থ্যকর গ্রামীণ অর্থনীতি দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং অন্যান্য খাতগুলির মধ্যে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। গ্রামীণ অর্থনীতির শক্তিশালী পরিস্থিতি কেবল কৃষি খাতেই নয়, অন্যান্য খাতেও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং চাহিদা বৃদ্ধির মাধ্যমে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করছে।

প্রতিবেদনটি আরও জানায়, বাড়ির ভোক্তাদের মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশার হ্রাস গ্রাহক ব্যয়ের বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করছে। এর ফলে দেশে চাহিদাভিত্তিক প্রবৃদ্ধি দৃঢ় হচ্ছে এবং যেকোনো ধরনের অর্থনৈতিক অস্থিরতার পরেও বাজারে স্থিতিশীলতা দেখা যাচ্ছে।

২০২৪ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে পুঁজি ব্যয়ে উন্নতি দেখা গেছে, যা দেশের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এবং দীর্ঘমেয়াদী বৃদ্ধির জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত। তবে, ২০২৪ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সরবরাহ শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক উন্নয়ন কিছুটা ধীর হয়েছে। এই নেতিবাচক প্রভাব শুধু ভারতেই নয়, অন্যান্য দেশেও দেখা গেছে।

যদিও বিশ্বের অন্যান্য অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, ভারতের অর্থনীতি এক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। SBI রিপোর্টে বলা হয়েছে, “ভারত এখনো বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে পরিচিত, যা দেশের শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং সরকারের কার্যকর নীতিমালার মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে।”

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে ভারত একটি বড় শক্তি হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) সম্প্রতি তাদের বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসে বলেছে যে, ২০২৪ এবং পরবর্তী অর্থবছরে ভারতের অর্থনীতি ৬.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এই পূর্বাভাসটি ভারতে শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং সরকারের নীতি উদ্যোগগুলির ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।

প্রতিবেদনটি আরো জানায়, ভারতে ভোক্তা ব্যয় এবং উৎপাদন খাতের মধ্যে শক্তিশালী সংযোগের কারণে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে পুঁজি ব্যয়ের প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়ন প্রকল্পগুলির জন্য নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ দেশটির অর্থনীতিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

ভারতের অর্থনীতি বর্তমানে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেও, শক্তিশালী গ্রামীণ অর্থনীতি, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা এবং সরকারের নীতিগত সহায়তার কারণে তা দ্রুত উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। SBI’র গবেষণা অনুযায়ী, আগামী কয়েক বছরে ভারতের অর্থনীতির আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রবৃদ্ধি দেশের আভ্যন্তরীণ চাহিদা, সঠিক নীতি এবং বাজারের শক্তির ওপর নির্ভরশীল।