তেলেঙ্গানা ড্রাগস কন্ট্রোল প্রশাসন (ডিসিএ) একটি বড় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে ওষুধ মজুতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে, ডিসিএ কর্তৃক একটি গুদামে অভিযান পরিচালিত হয়, যার ফলস্বরূপ ৬.৭০ লাখ টাকার অবৈধ ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়। এ বিষয়ে ডিসিএর পক্ষ থেকে এক প্রেস রিলিজে জানানো হয়, অবৈধভাবে ওষুধ মজুতের ব্যাপারে গোপন তথ্য পাওয়ার পর ডিসিএ কর্মকর্তারা মেদচাল-মালকাজগিরি জেলার উল্লাপাল খালসা গ্রামে অবস্থিত একটি অনলাইসেন্সধারী গুদামে অভিযান চালান। গুদামের ঠিকানা ছিল: D. No: 24-97-28/A, গ্রাউন্ড ফ্লোর, লক্ষ্মী নারায়ণ নগর কলোনি, উল্লাপাল খালসা গ্রাম, উল্লা মন্ডল, মেদচাল-মালকাজগিরি জেলা। গুদামের মালিক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন আন্ডাঙ্গি ভেঙ্কটা সূরেশ বাবু, যিনি ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই ওষুধ মজুত করেছিলেন।
অভিযানে ডিসিএ কর্মকর্তারা মোট ৬ ধরনের নিষিদ্ধ ওষুধ সনাক্ত করেন, যার মধ্যে ছিল অ্যাবরশন কিট, ব্যথানাশক, অ্যান্টিহিস্টামিনিক ড্রাগ সহ অন্যান্য বিপজ্জনক ওষুধ। অভিযানে নিষিদ্ধ করা ওষুধের মূল্য ৬.৭০ লাখ টাকা। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন আনজুম আবিদা (অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর, শামিরপেট), বি. লক্ষ্মী নারায়ণ (ড্রাগ ইন্সপেক্টর, উল্লাপাল), বি. প্রবীণ (ড্রাগ ইন্সপেক্টর, শামিরপেট), এবং পি. অম্বেদকর (ড্রাগ ইন্সপেক্টর, মেডিপল্লি) সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। ডিসিএ কর্মকর্তারা এই সিজ করা ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করেছেন বিশ্লেষণের জন্য। তদন্ত চলমান রয়েছে এবং আইন অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ড্রাগস কন্ট্রোল প্রশাসন জানিয়েছে, যারা এই ধরনের অবৈধভাবে মজুতকৃত ওষুধের ব্যবসা করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও, যেসব পাইকারি বিক্রেতা বা ডিলাররা লাইসেন্স ছাড়া ব্যক্তি বা গুদামে ওষুধ সরবরাহ করছেন, তাদেরও দায়ী করা হবে এবং যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা নিশ্চিত করবে যে, তারা কেবলমাত্র বৈধ লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানে ওষুধ সরবরাহ করছে। ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স অ্যাক্টের অধীনে, ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ মজুত ও বিক্রি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তির শাস্তি হতে পারে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড। এই অভিযান তেলেঙ্গানা রাজ্যবাসীকে একটি সতর্কবার্তা হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যাতে তারা জানেন যে, ড্রাগস কন্ট্রোল প্রশাসন অবৈধ ওষুধের ব্যবসা এবং মজুতের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।