প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলা উপলক্ষে আসা ৩৫ বছর বয়সী এক নারীর হত্যার ঘটনা সামনে এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, সম্ভবত তাঁর সঙ্গীই তাকে হত্যা করেছেন। মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে সঙ্গী পলাতক। এই ঘটনার পর মহাকুম্ভ মেলায় নিরাপত্তার খুঁটিনাটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ঝাঁসি থানার এসএইচও (SHO) উপেন্দ্র সিং জানান, নিহত নারী তার সঙ্গী নিয়ে প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলা দেখতে এসেছিলেন। তাঁরা আজাদ নগর এলাকায় একটি বাড়িতে বিশ্রামের জন্য রুম ভাড়া নিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন যে তারা ক্লান্ত, তাই কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে চান।
বুধবার সকালে, বাড়ির এক প্রতিবেশী ওই নারীর মৃতদেহ বাথরুমে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর, প্রাথমিক তদন্তে জানায়, “নারীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের সঙ্গী ঘটনাটি ঘটানোর পর পালিয়ে গেছে বলে অনুমান।”
পুলিশ জানায়, “হত্যার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়, তবে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে তারা অনুমান করছেন। হত্যাকাণ্ডটি ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের ফল কি না, তা নিয়েও তদন্ত চলছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কিছু প্রমাণ সংগ্রহ করেছে এবং আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা পলাতক ব্যক্তির খোঁজে অভিযান অব্যাহত রেখেছে এবং শীঘ্রই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।”
স্থানীয় এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। মহাকুম্ভ মেলা চলাকালীন এমন ঘটনার কারণে মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রয়াগরাজ পুলিশ শহরের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
এদিকে, নিহত নারীর পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়েছে এবং তারা পুলিশের সহযোগিতায় তদন্তে সহায়তা করছেন। ঘটনার পর, স্থানীয় প্রশাসন মহাকুম্ভ মেলার নিরাপত্তা আরও জোরদার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যাতে তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
এই ঘটনা শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে এবং মহাকুম্ভ মেলা পরিচালনার জন্য আরও সতর্কতার প্রয়োজনীয়তা বলে মনে করেছন।
মহাকুম্ভ মেলায় এরকম একটি ঘটনা ঘটার কারণে মেলা কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়েছে, তবে তারা আশ্বাস দিয়েছেন যে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।