৮ বিঘা পোস্ত চাষ ধ্বংস, নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর প্রশংসায় অসম মুখ্যমন্ত্রী

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বুধবার ঘোষণা করেছেন যে, আসাম-বেঙ্গল সীমান্তের ঘুলানি তাপুর চর অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনী ৮ বিঘা পোস্তর চাষ ধ্বংস করেছে। সমাজ মাদ্ধমে…

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বুধবার ঘোষণা করেছেন যে, আসাম-বেঙ্গল সীমান্তের ঘুলানি তাপুর চর অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনী ৮ বিঘা পোস্তর চাষ ধ্বংস করেছে। সমাজ মাদ্ধমে শর্মা লেখেন, “৮ বিঘা পপির চাষ ধ্বংস করা হয়েছে। ঘুলানি তাপুর চর অঞ্চলে মাদক পাচারকারীরা ভেবেছিল তারা প্রশাসনকে বোকা বানিয়ে পোস্তর চাষ করতে পারবে, কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছিল আমাদের সরকার এবং অসম পুলিশ সবসময় এক ধাপ এগিয়ে, তাই তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে।”

এই অভিযানটি চালানো হয়েছিল আসাম রাইফেলসের তত্ত্বাবধানে, যারা দীর্ঘদিন ধরে পপির চাষ ধ্বংস করার জন্য কাজ করছে। শর্মা আরো জানান, আসাম রাইফেলস এর আগেও বহুবার অবৈধ মাদক চাষ ও পাচার বন্ধ করতে এমন অভিযান চালিয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি, আসাম রাইফেলস, কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী এবং মণিপুর পুলিশ একত্রিতভাবে সেহজাং গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৬ একর এলাকা জুড়ে অবৈধ পোস্ত চাষ ধ্বংস করেছে, যা প্রায় ৩০ কেজি আফিম উৎপাদন করতে সক্ষম ছিল। এই অভিযানটি তথ্যভিত্তিক অনুসন্ধানের পর পরিচালিত হয়েছিল এবং এর ফলে আশপাশের কুটির ও অস্থায়ী শিবিরগুলি পুড়ে ধ্বংস হয়ে যায়, যা মাদক চাষীদের জন্য বড় ধরনের আঘাত ছিল।

   

এছাড়াও, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ সালে, অসম রাইফেলস উত্তর-পূর্ব ভারতের মায়ানমার সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে ৩৫৪ একর অবৈধ আফিং ক্ষেত ধ্বংস করেছে। এই অভিযানগুলো বিশেষভাবে উখরুল, চুরাচান্দপুর এবং চান্দেল জেলাগুলোতে পরিচালিত হয়। রাইফেলস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই অভিযানগুলি মূলত মায়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকার মাদক চাষ বন্ধ করতে পরিচালিত হয়েছে এবং এর মাধ্যমে তারা মাদক পাচার রোধের জন্য বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।

একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, অসম রাইফেলস, মণিপুর ও এর আশপাশের অঞ্চলে স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। বিশেষত মাদক চাষের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে, যাতে এই অঞ্চলের সমাজে মাদক ব্যবসার বিস্তার রোধ করা যায়। এই অভিযানের ফলে, আসাম রাইফেলস এর অভিযানগুলোর মধ্যে আরও একটি সাফল্য হিসেবে মনে করা হচ্ছে, যা আসামের নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসনের দৃঢ়তা এবং প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে।