ট্যাংরায় হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড (Murder in Kolkata)। দুই মহিলা এবং এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক তদন্তে হত্যাকাণ্ডের পেছনে দুই ভাইয়ের সংঘাতকে কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটেছে একটি বাড়িতে। যেখানে মৃতদের মধ্যে দুই মহিলা এবং তাদের এক সন্তান ছিলেন। হত্যার ঘটনা (Murder in Kolkata) জানাজানি হওয়ার পর, এলাকার মধ্যে তীব্র চাপানউতোর শুরু হয়। কিছু সময়ের মধ্যেই পুলিশ জানায় যে, খুনের পর দুই ভাই—প্রসূণ দে এবং প্রণয় দে—পালানোর চেষ্টা করছিল। তবে ঠিক সময়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয় এবং তাদের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে। আরো, চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে এই দুর্ঘটনা ঘিরে। অভিষিক্তায় ৩ জন বাইক আরোহী পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। তাদের কাছ থেকেই নাকি পাওয়া যায় এই ট্যাংরার বাড়ির ঠিকানা। বাড়ি এসে পুলিশ দেখে তিনজন হাতের শিরা কাটা অবস্থায় পড়ে আছেন। দুর্ঘটনা কবলিত বাইক আরোহীদের গাড়ি থেকে মিলেছে রহস্যময় ব্রেসলেট। তবে এই ঘটনা আত্মহত্যা না খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, দুই ভাই তাদের নিজস্ব স্ত্রীর ও সন্তানকে হত্যা করে পালানোর পরিকল্পনা করেছিল। তবে, পুলিশের তৎপরতায় তারা সফল হতে পারেনি। ঘটনাস্থলে হোমিসাইড শাখার পুলিশ দ্রুত পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে এবং পুরো ঘটনার গভীরে ঢোকার চেষ্টা করছে।
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে কোনওরকম ঝামেলা বা পারিবারিক বিরোধ ছিল, যা এই হত্যাকাণ্ডে রূপ নিয়েছে। এলাকায় ঘটনার পর থেকেই মানুষের মধ্যে শোকের পাশাপাশি আতঙ্কও দেখা দিয়েছে। পুলিশকে এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে দেখা গেছে।
এখনও পর্যন্ত পুলিশ হত্যার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেনি। তবে তাদের সন্দেহ, দুই ভাইয়ের মধ্যে কোন না কোন কারণে পারিবারিক সংঘাত ছিল, যার ফলস্বরূপ এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এখন পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে। তদন্তে আরও তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।