মহা কুম্ভ নয়, ‘মৃত্যু কুম্ভ’! পদপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুতে বিঁধলেন মমতা

কলকাতা: প্রয়াগরাজে চলছে মহাকুম্ভ মেলা৷ এরই মধ্যে বারেবারে বেজেছে বিপদের ঘণ্টা৷ আগুল লাগা থেকে পদপৃষ্টের ঘটায় বিপর্যয় নেমেছে প্রয়াগরাজে৷ মহাকুম্ভে পদপৃষ্ঠ হয়ে ৩০ জনের মৃত্যুর ঘটনায়…

কলকাতা: প্রয়াগরাজে চলছে মহাকুম্ভ মেলা৷ এরই মধ্যে বারেবারে বেজেছে বিপদের ঘণ্টা৷ আগুল লাগা থেকে পদপৃষ্টের ঘটায় বিপর্যয় নেমেছে প্রয়াগরাজে৷ মহাকুম্ভে পদপৃষ্ঠ হয়ে ৩০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় এবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনাকে ‘মৃত্যু কুম্ভ’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি৷ গোটা ঘটনার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বলেন, “মহাকুম্ভের নামেই মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এই ধরনের দুর্ঘটনার জন্য কে দায়ী?” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “এত মানুষ মেলার মধ্যে প্রাণ হারাচ্ছেন, অথচ সরকার কিছুই করছে না।”

   

তাঁর অভিযোগ “উত্তরপ্রদেশের সরকার এই বিপদের বিষয়টিকে গুরুত্বই দেয়নি৷ শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলির দিকে মনোযোগ দিয়েছে, সেই কারণেই এতগুলো প্রাণ চলে গিয়েছে। যোগী আদিত্যনাথের সরকারের অদক্ষতা এবং অব্যবস্থাপনা এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।” তিনি সতর্ক করে দেন, “এমন দুর্ঘটনা যাতে আরও না ঘটে, তার জন্য সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।”

মঙ্গলবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সরাসরি যোগী সরকারকে আক্রমণ শানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷  তিনি বললেন, ‘মহা কুম্ভ আমি আর নাই বা বললাম। ওটা তো এখন মৃত্যুকুম্ভ হয়ে গিয়েছে। মৃত্যুকূপের মতো। আমি মহাকুম্ভকে সম্মান করি। শ্রদ্ধা জানাই পবিত্র গঙ্গা মাকে। কিন্তু প্ল্যানিং না করে এত হাইপ তুললেন? এত লোকের মৃত্যু! বললেন ৩০ জন। কথাটা সঠিক? কত ডেডবডি নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছেন? কত হাজার হাজার ডেডবডি। ৮ বার আগুন লেগেছে।’

মহাকুম্ভে ভিআইপি কালচারকেও টার্গেট করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘বড়লোক আর ভিআইপি-দের জন্য লক্ষ টাকার ক্যাম্প করা হয়েছে। আর গরিব মানুষের জন্য ২০ ঘণ্টা লাইন৷ এককাপ লাল চা ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভিআইপি-দের স্নানের জায়গা আলাদা। ওই জল আপনারা দূষিত করেছেন। মৃতদেহের উপর দিয়ে যারা এই হাইপ তুলছেন আর টাকা কামানোর জন্য ধর্মকে বিক্রি করছেন, তাদের আমি মন থেকে মেনে নিতে পারি না৷’