‘মধ্যরাতের সিদ্ধান্ত’! নয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধোনা রাহুলের

নয়াদিল্লি: কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (CEC) নিয়োগের সিদ্ধান্তকে তীব্রভাবে সমালোচনা করেছেন। তিনি এই সিদ্ধান্তকে “অশ্রদ্ধা” ও “অসদাচরণ”…

Rahul Gandhi's dissent on 'midnight' move to pick poll body chief

নয়াদিল্লি: কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (CEC) নিয়োগের সিদ্ধান্তকে তীব্রভাবে সমালোচনা করেছেন। তিনি এই সিদ্ধান্তকে “অশ্রদ্ধা” ও “অসদাচরণ” বলে অভিহিত করেছেন এবং দাবি করেছেন, এর ফলে ভোটারদের মধ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে আরও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। গান্ধী অভিযোগ করেছেন, সুপ্রিম কোর্টে চলমান মামলার শুনানির আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও সরকারের প্রতি জনগণের আস্থাকে ক্ষুণ্ন করেছে।

গান্ধী তার বিরোধিতামূলক নোটে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী যখন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আগেই এই সিদ্ধান্ত নিলেন, এটি শুধু অশ্রদ্ধাজনক নয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি একটি গুরুতর অবমাননা।”

   

গ্যানেশ কুমারকে নতুন CEC হিসেবে নিয়োগ

রাহুল গান্ধীর আপত্তির পরও, সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতি গ্যানেেশ কুমারকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং হরিয়ানা রাজ্যের প্রধান সচিব ড. Vivek Joshi-কে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেন। গ্যানেেশ কুমার হলেন প্রথম CEC, যাকে সংশোধিত আইনের অধীনে নিযুক্ত করা হয়েছে, যেখানে প্রধান বিচারপতিকে নির্বাচন কমিটি থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর হাতে নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

কংগ্রেসের তীব্র প্রতিবাদ

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। কংগ্রেস নেতা কে সি ভেনুগোপাল অভিযোগ করেছেন, সরকার সুপ্রিম কোর্টের নজরদারি এড়ানোর জন্য তাড়াহুড়ো করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। তিনি বলেন, “এমন পদক্ষেপ দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করতে পারে এবং জনগণের মধ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করবে।”

নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ

সরকারের এই সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন ও তার কার্যক্রমের ওপর রাজনৈতিক প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। বিরোধীরা আশঙ্কা করছে, এর মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়া ও এর নিরপেক্ষতার প্রতি জনগণের আস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, এমন মত প্রকাশ করছে বিশ্লেষকরা।