গত পঞ্চাশ বছরের মধ্যে ঢাকার সঙ্গে সর্বাধিক গরম সম্পর্কে বিয়ের জল ঝরে পড়ছে! কূটনৈতিক জটিলতা ঠেলে সরিয়ে দুই দেশের নাগরিকরা বিয়েতে মাতোয়ারা। ২০২৪ সালে বাংলাদেশি-ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিয়ের নিবন্ধন হয়েছে। উল্লেখ্য, গতবছর বাংলাদেশে রক্তাক্ত গণবিক্ষোভের পর পালাবদল হয়েছে। এর জেরে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সংঘাত চলছে।
রগতবছর বাংলাদেশ থেকে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা। তিনি ভারতে চলে যাওয়ার পর ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে কূটনৈতিক- রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাব আন্তঃদেশীয় বিয়েতে প্রভাব ফেলতে পারেনি। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ও ভারতীয়দের মধ্যে যে পরিমাণ বিয়ে হয়েছিল তার দ্বিগুণ বিয়ে হয়েছে ২০২৪ সালে। অর্থাৎ কূটনৈতিক সম্পর্ক বিয়ের আসরে বিলীন!
পশ্চিমবঙ্গে শতশত বাংলাদেশি বউ!
রিপোর্টে উঠে এসেছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে গত বছর ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০০ জন বাংলাদেশি নারী ভারতে বিয়ে করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন। আর ১১ জন বাংলাদেশি পুরুষ ভারতীয় নারীকে বিয়ের আবেদন করেছেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৪৮৬ বাংলাদেশি পশ্চিমবঙ্গের ভারতীয়দের বিয়ে করার আবেদন করেন।
কী বলছে ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন?
নাগরিকত্ব আইন বিশ্লেষণে উঠে আসছে পশ্চিমবঙ্গে শ্বশুরবাড়ি করে নিয়েছেন শতশত বাংলাদেশি বউ। এরা নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী ভারতে থাকবেন। ভারতের ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী যদি অন্য কোনও দেশের নাগরিক ভারতীয়কে বিবাহ করেন তাহলে তিনি ভারতের নাগরিকত্ব পেতে আবেদন করতে পারবেন। এ ছাড়া যদি কোনো শিশুর পিতা অথবা মা ভারতীয় হন তাহলে ওই শিশু ভারতের নাগরিকত্ব পাবে।
তথ্য পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, গত পাঁচ বছরে ৪১০ বাংলাদেশি নারী ভারতীয়কে বিয়ে করেছেন। অন্যদিকে ৭৬ বাংলাদেশি পুরুষ ভারতীয় নারীকে বিয়ে করেছেন। গত বছর ১০০ বাংলাদেশি নারী ভারতীয়দের বিয়ে করার আবেদন করেন তাদের মধ্যে ৭৯ জন বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী, ১৬ জন মুসলিম এবং ৫ জন খ্রিষ্টান। আর যে ১১ জন বাংলাদেশি পুরুষ ভারতীয় নারীদের বিয়ে করেছেন তাদের মধ্যে ৯ জনই ভারতীয় হিন্দু। বাকি ২ জন মুসলিম।
রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিদেশিদের জন্য ভারতীয় বিয়ে করার পদ্ধতিটি সহজ করে দেয়। এরপর থেকে বাংলাদেশি-ভারতীয় বিয়ের সংখ্যা বেড়েছে।