“হাফ মন্ত্রী” র অবহেলায় দুর্ঘটনা, বিঁধলেন অভিষেক

নতুন দিল্লি স্টেশনের দুর্ঘটনা নিয়ে নানা জনের নানা মত। বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা দায় চাপাচ্ছেন মানুষের উপর। সুকান্ত মন্ডল যিনি কয়েকদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেস কে “ভাইরাস”…

নতুন দিল্লি স্টেশনের দুর্ঘটনা নিয়ে নানা জনের নানা মত। বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা দায় চাপাচ্ছেন মানুষের উপর। সুকান্ত মন্ডল যিনি কয়েকদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেস কে “ভাইরাস” বলেছিলেন, আজ বললেন এই দায় মানুষেরও। তাড়াহুড়ো না করলে নাকি এই দুর্ঘটনা ঘটতো না। দিলীপ ঘোষ বলেছেন মানুষের ধৈর্য কম তাই এই দুর্ঘটনা। কিন্তু রিপোর্ট বলেছে তিনটি ট্রেন নির্ধারিত সময় আসেনি, তবে এই দায় কার।

নয়াদিল্লি রেলস্টেশনে ট্রেনে উঠতে গিয়ে ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রেলস্টেশনে কোনও ধরনের সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না এবং যাত্রীদের চাপে স্টেশনটি বেশ উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল। যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য এবং নিরাপত্তার কোনও ব্যবস্থা ছিল না, এবং রেল কর্তৃপক্ষ কোনও ধরনের প্রস্তুতি নেয়নি। এর ফলস্বরূপ এই দুঃখজনক ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস দল ভারতীয় রেলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে রেলের চূড়ান্ত অব্যবস্থার কথা তুলে ধরা হয়েছে এবং এর জন্য রেলের কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা হয়েছে। যাত্রী নিরাপত্তা, পরিকাঠামো এবং পরিষেবার অভাব নিত্যনতুন দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় রেল কীভাবে কোটি কোটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে।

   

রেলের অব্যবস্থাপনার আরও কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরে তৃণমূল নেতারা জানান, রেল স্টেশনগুলিতে যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। প্ল্যাটফর্মের সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকা, অত্যন্ত খারাপ পরিষেবা—এসবই দেশজুড়ে রেলের কঙ্কালসার চেহারা প্রকাশ করছে। এটি যেন প্রতিদিনই বড় দুর্ঘটনাকে উস্কে দিচ্ছে। বিতর্ক  উস্কে দিয়ে এবার অশ্বিনী কে বিঁধলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তিনি তার সামাজিক মাদ্ধমের পেজ এ লিখেছেন এই দুর্ঘটনার দায় হাফ মন্ত্রীর। তারই অবহেলাতে এতো গুলো মানুষের প্রাণ চলে গেছে। আশংকাজনক অবস্থায় আরো অনেকে ভর্তি হাসপাতালে। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অনেক আগেই বিধানসভায় অভিযোগ করেছিলেন ট্রেন যাত্রীদের সাচ্ছন্দ নিয়ে। আজ আবার শিয়ালদহ স্টেশনে রেল মন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ করে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন।

রেলমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই যথেচ্ছ টিকিট বিক্রি বন্ধ থেকে শুরু করে আরো কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা রেল ব্যবস্থার জন্য বড় ধরনের প্রশ্নবোধক চিহ্ন তৈরি করেছে, এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। কীভাবে ভারতীয় রেল তার যাত্রীদের জন্য নিরাপদ এবং সুবিধাজনক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে, তা এখন সময়ের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।