আর্থিক দুর্নীতিতে এফআইআর নয় কেন, সিবিআই কে নিশানা হাইকোর্টের

স্টেটব্যাঙ্ক এবং ইউকো ব্যাঙ্কের দুটি শাখায় কোটি কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় এখনো এফআইআর করেনি সিবিআই। এবার খোদ হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নিশানা করলেন সিবিআই…

স্টেটব্যাঙ্ক এবং ইউকো ব্যাঙ্কের দুটি শাখায় কোটি কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় এখনো এফআইআর করেনি সিবিআই। এবার খোদ হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নিশানা করলেন সিবিআই কে। আদালত জানতে পেরেছে সিবিআই রাজ্যের অনুমতির অপেক্ষায় ছিল। এদিন বিচারপতি কার্যত ভর্ৎসনা করে বলেন সিবিআই কাজ করবে না বলেই কি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি আরো বলেন সিবিআই বাংলায় থেকেই তাদের এমন অবস্থা হয়েছে।

হাইকোর্ট জানতে চেয়েছে ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে এফআইআর করার সিদ্ধান্ত নিতে কেন রাজ্যের অনুমোদন লাগবে। একই সঙ্গে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী বা পাবলিক সেক্টরের কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে গেলে রাজ্যের অনুমোদনের কোনো প্রয়োজন নেই। পাল্টা যুক্তি দিয়ে সিবিআই এর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন “এফআইআর করলে ব্যাঙ্ক যদি বলে এটা দুর্নীতির মামলা নয় তখন কি হবে। ”
এই ঘটনা সারা দেশে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আস্থা ফেরাতে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষত, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির দিকে জনসাধারণের আস্থা বেশ কমে গেছে গত কয়েক বছরে, এবং এমন ঘটনা এটি আরও বাড়াতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সিবিআইয়ের দ্রুত পদক্ষেপ এবং কঠোর তদন্তে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।

   

এফআইআর দায়েরের পর সিবিআই কি দ্রুত এবং কার্যকরভাবে তদন্ত করবে, তা দেখার বিষয়। এক্ষেত্রে সিবিআই-কে অত্যন্ত সতর্কভাবে এবং নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে হবে, যাতে কেউ অনধিকারভাবে দোষী না হয় এবং যারা সত্যিকারভাবে দোষী, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।
এছাড়া, এই মামলার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে, আরও বেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে পারে, যা দেশের আর্থিক ব্যবস্থাকে বিপদে ফেলতে পারে। এখন সিবিআই-র ওপর চাপ বাড়লো এবং তাদের দ্রুত কাজ শুরু করতে হবে।

বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ স্পষ্ট করে বলেছেন যে টাকা তছরুপের অভিযোগ যার উপরে আছে সেই কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে কোনো অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। সিবিআই নিজের বুদ্ধি কাটিয়ে কাজ করুক এবং যা নথি পাওয়া গেছে তার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিক এফ এই আর করা হবে কিনা।