২০২৫ আয়কর বিলে বড় পরিবর্তন, কী কী সুবিধা পাবেন কর দাতারা?

কলকাতা: গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সংসদে নতুন আয়কর বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এই বিলে ৮০সি ধারায় দেওয়া ট্যাক্স সেভিং সুবিধাগুলো চ্যাপ্টার ৮-এর ক্লজ…

Nirmala Sitharaman

কলকাতা: গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সংসদে নতুন আয়কর বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এই বিলে ৮০সি ধারায় দেওয়া ট্যাক্স সেভিং সুবিধাগুলো চ্যাপ্টার ৮-এর ক্লজ ১২৩-এ স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই পরিবর্তনের উদ্দেশ্য হল কর কাঠামোকে আরও সহজ ও সুসংগত করা, যাতে করদাতারা তাঁদের ট্যাক্স সেভিং মাধ্যমগুলো সহজেই বুঝতে পারেন এবং সঠিক আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

নতুন আয়কর বিলটি ১ এপ্রিল, ২০২৬ থেকে কার্যকর হবে এবং এতে করদাতাদের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা নিয়ে আসছে। এর মাধ্যমে বর্তমান কর কাঠামোকে আরও সহজ, স্বচ্ছ ও ব্যবহারযোগ্য করা হবে।

   

৮০সি ধারা এবং এর গুরুত্ব
আয়কর আইনের সেকশন ৮০সি, করদাতাদের প্রতি বছর ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নির্দিষ্ট কিছু বিনিয়োগে কর ছাড় দেয়। এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি করদাতা এবং হিন্দু অপরিবর্তিত পরিবার (HUF) সদস্যদের জন্য, কারণ এটি তাদের করযোগ্য আয় কমিয়ে দেয় এবং ফলস্বরূপ তাদের করের পরিমাণও হ্রাস করে।

সেকশন ৮০সি-র আওতায় কী কী ডিডাকশন পাওয়া যায়?
সেকশন ৮০সি-এর আওতায় করদাতারা যে প্রধান ডিডাকশনগুলো উপভোগ করতে পারেন, তা হলো:

জীবন বিমা প্রিমিয়াম,
ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (NPS),
ইক্যুইটি-লিঙ্কড সেভিং স্কিম (ELSS),
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF),
নির্দিষ্ট কিছু ফিক্সড ডিপোজিট।
এইসব সুযোগ করদাতাদের দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয় এবং বিনিয়োগে উৎসাহিত করে, যা ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে।

নতুন আয়কর বিলে কী পরিবর্তন এসেছে?
নতুন আয়কর বিলে সেকশন ৮০সি-র ডিডাকশনগুলো এখন ক্লজ ১২৩-এর অধীনে স্থানান্তরিত হয়েছে। তবে, এটি এই ডিডাকশনগুলোকে বিলুপ্ত করছে না, বরং এগুলিকে আলাদা আলাদা শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে, যাতে সংশ্লিষ্ট আর্থিক কার্যক্রমের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও পরিষ্কার হয়। উদাহরণস্বরূপ, প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং জীবন বিমার অবদান এখন ক্লজ ১২৩-এর আওতায় পড়বে।

নতুন আয়কর বিলে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন
এই নতুন বিলের মাধ্যমে প্রায় ৩০০টি অপ্রয়োজনীয় ও অব্যবহৃত ধারা বাতিল করা হয়েছে, যেগুলি আগে করদাতাদের জন্য বিভ্রান্তিকর ছিল। এছাড়া, ডিডাকশন, অব্যাহতি, রিবেট এবং পুঁজি লাভ সম্পর্কিত ধারা গুলোকে আরও সহজ ও বোঝার উপযোগী করা হয়েছে। এর ফলে করদাতারা এগুলো সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন।

করদাতারা কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?
এই পরিবর্তনের ফলে করদাতাদের নতুন নিয়মগুলো সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং বুঝতে হবে, কীভাবে এই পরিবর্তনগুলি তাদের আয়কর পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করবে। সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করলে তারা তাদের ট্যাক্স সেভিং সুবিধা থেকে সর্বোচ্চ লাভ পেতে পারবেন।