প্রয়াগরাজে পৌঁছলেন সিভি আনন্দ বোস, জানালেন মহাকুম্ভের আধ্যাত্মিক গুরুত্ব

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বসু (C.V Ananda Bose) সোমবার মহাকুম্ভমে (Mahakumbh 2025) অংশগ্রহণের জন্য উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে পৌঁছেছেন। রাজ্যপাল বসু (C.V Ananda Bose) এএনআই-কে দেওয়া এক…

cv-anand-bose-arrives-in-prayagraj-highlights-spiritual-significance-of-mahakumbh

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বসু (C.V Ananda Bose) সোমবার মহাকুম্ভমে (Mahakumbh 2025) অংশগ্রহণের জন্য উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে পৌঁছেছেন। রাজ্যপাল বসু (C.V Ananda Bose) এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎ করে বলেন, “কুম্ভ (Mahakumbh)ভারতের মহান সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সেরা দিকটির প্রতিনিধিত্ব করে। এটি সকল ভারতীয়ের জন্য গর্বের বিষয় যে, বিশ্বের বৃহত্তম জনতা ‘অহম ব্রহ্মাস্মি’র অর্থ কী তা বোঝার জন্য স্বেচ্ছায় এখানে আসছে।”

বোস (C.V Ananda Bose) আরও বলেন “ভারত আমাদের মহান সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য থেকে উদ্ভূত একটি মহান শক্তি দ্বারা চালিত। কুম্ভ তারই প্রতিনিধিত্ব করে।”

   

এদিকে, সোমবার মহাকুম্ভের (Mahakumbh)৩৬তম দিনে ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র স্নান করতে ভক্তরা আসতে শুরু করেন। এই দিনে ভিআইপিদের একটি স্রোতও আসতে দেখা গেছে। বিপুল সংখ্যক ভিড় সামলাতে পুলিশ কর্মকর্তারা এদিন সতর্ক ছিলেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে রবিবার প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল জিপি সিং।

সিআরপিএফের এক্স অ্যাকাউন্টে জানানো হয়েছে, “প্রয়াগরাজে, ডিজি জিপি সিং মহাকুম্ভের নিরাপত্তা ব্যবস্থা মূল্যায়ন করেছেন এবং সিআরপিএফ কর্মকর্তাদের নিরবচ্ছিন্ন জনসাধারণের সহায়তার সাথে সতর্কতার ভারসাম্য বজায় রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন।”

উত্তরাখণ্ডের বিজেপি নেতা অজয় ভট্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যবস্থার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “এখানে করা ব্যবস্থায় আমি খুবই খুশি। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সত্যিই ভালো ব্যবস্থা করেছেন।”

মহাকুম্ভে উপস্থিত বিজেপি সাংসদ ভারতী পারধি বলেন, “দেশের সংস্কৃতিই মানুষকে এখানে এনেছে।” এছাড়া, এপি লেপসি মেদান্তের পরিচালক আত্মারাম বনসল মহাকুম্ভ পরিদর্শন ও ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করার সৌভাগ্যপ্রাপ্ত হওয়া নিয়ে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

মহাকুম্ভ মেলায় যোগ দেওয়ার জন্য ভক্তরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন, এবং এটাই বিশ্বের বৃহত্তম মানব সমাবেশ হিসেবে পরিচিত। এখন পর্যন্ত ৫২ কোটিরও বেশি ভক্ত পবিত্র স্নান করেছেন।