প্রথমবারের মতো সমুদ্রপথে অস্ট্রেলিয়ায় ডালিম রফতানি ভারতের

ভারত প্রথমবার সমুদ্রপথে অস্ট্রেলিয়ায় ডালিম রফতানি শুরু করেছে। সোমবার এক সরকারি সুত্রে খবর, এটি ভারতীয় ডালিমের  জন্য একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, যেটি সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কৃষি…

ভারত প্রথমবার সমুদ্রপথে অস্ট্রেলিয়ায় ডালিম রফতানি শুরু করেছে। সোমবার এক সরকারি সুত্রে খবর, এটি ভারতীয় ডালিমের  জন্য একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, যেটি সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কৃষি রফতানি ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
বর্তমানে ভারতীয় ডালিম রফতানি প্রধানত বিমানপথে হয়, কারণ এই পণ্যটির পরিমাণ কম এবং পরিপক্কতার সময়কাল ভিন্ন হয়। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বাজারে ভারতীয় ডালিমের  চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে, খরচ কমাতে এবং পরিবহণের সময়ও উন্নত করতে সমুদ্রপথে রফতানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় বাণিজ্যক মন্ত্রক জানিয়েছে, “অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় ডালিম রফতানির জন্য বাজার প্রবেশাধিকার লাভের পর, ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালে একটি কাজের পরিকল্পনা ও স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিউর স্বাক্ষরিত হয়েছিল।”
আগামী বছরের জুলাই মাসে প্রথম বিমানপথে রফতানি শুরু হয়। বিমানপথে ডালিম পাঠানোর মাধ্যমে বাজারের চাহিদা যাচাই করা হয়। যা পরে সমুদ্রপথে রফতানি চালানোর সিদ্ধান্তকে ত্বরান্বিত করে।
“৬ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে প্রথম সমুদ্রপথে ডালিমের  শিপমেন্ট ভারত থেকে যাত্রা শুরু করে এবং ১৩ জানুয়ারি সিডনিতে পৌঁছায়। এই শিপমেন্টে মহারাষ্ট্রের সোলাপুর অঞ্চলের ৫.৭ টন ডালিম পাঠানো হয়েছিল,” বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও ৬ ই জানুয়ারি ৬.৫৬ টন ভাগওয়া প্রজাতির ডালিম নিয়ে আরেকটি সমুদ্রপথে রফতানি শিপমেন্ট ব্রিসবেন, অস্ট্রেলিয়া পৌঁছেছে।
এই শিপমেন্টগুলি অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় ডালিম রফতানির নতুন যুগের সূচনা করেছে। কৃষি রফতানিতে ভারত যে ধারাবাহিকভাবে বৈশ্বিক বাজারে নিজের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে, এটি তারই একটি বড় উদাহরণ। সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহণের মাধ্যমে খরচ কমিয়ে, ভারতীয় কৃষকদের জন্য নতুন রফতানির সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডালিম রফতানির এই পরীক্ষামূলক উদ্যোগ ভারতের কৃষি খাতে আরও বৃহত্তর সুযোগ সৃষ্টি করবে। তবে রফতানির পরিমাণ বাড়ানো ও দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল পেতে আরও কিছু সময়ের জন্য বাজার পর্যবেক্ষণ ও স্থানীয় চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রাখা জরুরি।