বিএসএফ-বিজিবি বৈঠক, সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন সিদ্ধান্ত

দিল্লিতে আজ, সোমবার থেকে শুরু হবে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী (BSF-BGB) বাহিনীর তিনদিনের জরুরি বৈঠক। বৈঠকটি মূলত সীমান্ত সুরক্ষা সম্পর্কিত সমন্বয় সম্মেলন। এই বৈঠকে বিএসএফের…

BSF-BGB Meeting: New Decisions on Border Security

দিল্লিতে আজ, সোমবার থেকে শুরু হবে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী (BSF-BGB) বাহিনীর তিনদিনের জরুরি বৈঠক। বৈঠকটি মূলত সীমান্ত সুরক্ষা সম্পর্কিত সমন্বয় সম্মেলন। এই বৈঠকে বিএসএফের প্রতিনিধিত্ব করবেন ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নেতৃত্বে থাকবেন মেজর জেনারেল মহম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকি। বৈঠকটি চলবে ২০ তারিখ পর্যন্ত।  

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা বৃদ্ধি নিয়ে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের সীমান্তে কাঁটাতারের বিষয়টি এখন জটিল হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ওপার বাংলা থেকে অবৈধ পারাপার বৃদ্ধি পাওয়ায়, বিএসএফের উপর চাপ বাড়ছে। মাদক পাচার, অনুপ্রবেশ এবং বিএসএফ জওয়ানদের উপর হামলার মতো বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা হতে পারে এই বৈঠকে।

   

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার বসানোর উদ্যোগ নিয়ে একাধিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ আপত্তি জানালেও, ভারতের পক্ষ থেকে কাঁটাতার বসানো জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে। বিএসএফের এক আধিকারিক জানান, আগে বাংলাদেশ কাঁটাতার বসানোর বিরুদ্ধে ছিল না কিন্তু এখন তারা বিরোধিতা করছে। বিজিবি জওয়ানরা বলছেন, তাদের সদর দপ্তর থেকে নির্দেশ এসেছে যে কাঁটাতার বসাতে গেলে তা বিরোধিতা করতে হবে।

বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ জসীমউদ্দিন ভারতের কাঁটাতারের বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় বর্মাকে ডেকে বিষয়টি তুলে ধরেছেন। পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে উঠেছে, তবে সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

বৈঠকে আরও আলোচনার বিষয় হতে পারে সীমান্তে চোরাচালান বন্ধ করা, পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং যৌথভাবে সীমান্ত সুরক্ষা ব্যবস্থাপনা। বিশেষ করে, বিএসএফের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত কিছুদিন আগে বাংলার সীমান্তে কাঁটাতার বসানোর সময় বিএসএফ জওয়ানরা হামলার শিকার হয়েছিলেন।

বিজিবি সীমান্ত সুরক্ষা চুক্তি নিয়ে কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাবও দিতে পারে। হাসিনা সরকারের আমলে এই চুক্তি হয়েছিল কিন্তু এখন চুক্তির মধ্যে কিছু খামতি রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক দুই দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।