আসানসোল রেলওয়ে স্টেশনে (Asansol Railway Station) মঙ্গলবার ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে, যা নিউ দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনের ভিড়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। কুম্ভ মেলায় শাহী স্নান করতে ভয়াবহ যাত্রী ভিড় আসানসোল স্টেশনে। যে কোনও সময় নয়া দিল্লি স্টেশনের মতো পায়ের চাপে মৃত্যুর আশঙ্কা। স্টেশনে জনসমুদ্র। পশ্চিম বর্ধমানের এই স্টেশন থেকে ধানবাদ, গোমো, গয়া, পাটনা অর্থাৎ ঝাড়খণ্ড ও বিহারের মতো রাজ্য দিয়ে যে ট্রেনগুলি প্রয়াগরাজ (এলাহাবাদ) অভিমুখে যাচ্ছে তাতে ভয়াল পরিস্থিতি। রেলের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রবল ক্ষোভ ছড়াচ্ছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, স্টেশনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও ব্যারিকেডের অভাব থাকায় ঠেলাঠেলির ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। অনেকেই প্ল্যাটফর্মে জায়গা না পেয়ে রেললাইনের কাছে দাঁড়িয়ে থাকেন, যা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে যাত্রীদের দাবি, স্থায়ী সমাধানের প্রয়োজন।
রবিবার যত সময় বেড়েছে ততই আসানসোল স্টেশনে ভিড় বাড়ে। এমন পরিস্থিতি নয়াদিল্লি স্টেশনে হুড়োহুড়ি ও পায়ের চাপে মৃত্যুর মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে বলে আশঙ্কা।
শনিবার প্রয়াগরাজ যাওয়ার জন্য নিউ দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ঠ হয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার আসানসোল দেখা গেল হুড়োহুড়ি। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ভিড়ের কারণে অনেক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। রবিবার সকালে পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের ডিআরএম চেতনানন্দ সিং স্টেশন পরিদর্শন করেন। ট্রেন চলাচল এবং যাত্রীদের সুবিধার বিষয়ে সবকিছু খতিয়ে দেখেন। তবে ভিড়ের চাপে সরকারি পরিকাঠামো ভেঙে পড়ে।
প্রয়াগরাজ যেতে আসানসোল – মুম্বই ট্রেনে চাপার জন্য স্টেশনের বাইরে কয়েক যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রেলের তরফে যাত্রীদের সরাসরি ২ নম্বর প্লাটফর্মে নিয়ে যাওয়ার জন্য পার্সেল রুমের পাশের গেট খুলে দেওয়া হয়। তবে তাতে আরও ভিড় ঢুকে যায় স্টেশনে। আসানসোল থেকেই এই পরিস্থিতি তাহলে পরবর্তী স্টেশনগুলিতে কী ঘটতে চলেছে ভেবে রেল কর্মীরা আশঙ্কিত।