China Deep Sea Space Station: ভারতের প্রতিবেশী দেশ চিন প্রযুক্তি নিয়ে নিত্যনতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চলেছে। এবার চিন গভীর সমুদ্রে গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে। একে বলা হচ্ছে গভীর জলের ‘স্পেস স্টেশন’ (Deep Sea Space Station)। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই চিনা মহাকাশ স্টেশন কবে প্রস্তুত হবে এবং এটি তৈরির উদ্দেশ্য কী।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 2000 মিটার নিচে
আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের পর গভীর সমুদ্রে স্পেস স্টেশন তৈরি করবে চিন। শি জিনপিংয়ের দেশ ক্রমাগত সম্প্রসারণবাদী নীতি অনুসরণ করে আসছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমেও চিন তার সম্প্রসারণবাদী নীতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এটি 2030 সালের মধ্যে প্রস্তুত হবে
তথ্য অনুসারে, চিনের এই মহাকাশ স্টেশনটি ২০৩০ সালের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে এবং চালু হতে পারে। এই মহাকাশ স্টেশনে ৬ জন বিজ্ঞানীর স্থান থাকবে। এখানে এক মাস মিশন চলবে। এর উদ্দেশ্য ঠান্ডা ঝিনুক বাস্তুতন্ত্রের উপর গবেষণা করা। মহাসাগরীয় মহাকাশ স্টেশনে ড্রিলিং জাহাজ মেংজিয়াংও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এর লক্ষ্য প্রথমে পৃথিবীর ভূত্বকের কাছে পৌঁছানো।
চিনের ‘স্পেস স্টেশন’ বানানোর সুবিধা কী?
- দক্ষিণ চিন সাগরে 70 বিলিয়ন টন মিথেন হাইড্রেট রয়েছে। এটি তেল ও গ্যাসের মজুদের অর্ধেকের সমান।
- 600 টিরও বেশি প্রজাতি সমুদ্রের নীচে কঠোর পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে এনজাইম যা ক্যান্সারের চিকিৎসায় কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে।
- চিন যদি এই স্পেস স্টেশন তৈরি করে, তাহলে দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের দাবি জোরদার হতে পারে।
- এই এলাকায় কোবাল্ট এবং নিকেল ঘনত্বের মতো বিরল খনিজ আমানতও রয়েছে। এখান থেকে ভূমিভিত্তিক খনি থেকে তিনগুণ বেশি কোবাল্ট ও নিকেল উৎপাদিত হতে পারে।