ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে সাম্প্রতিক রদবদলে রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত হয়েছেন। বিশেষ করে, কৃষ্ণ আল্লাভারুকে বিহার রাজ্যের ইনচার্জ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কৃষ্ণ আল্লাভারু, যিনি ভারতীয় যুব কংগ্রেসের ইনচার্জ এবং দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, তিনি বিহার রাজ্যের দায়িত্ব পেয়েছেন। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিহারে কংগ্রেসের ভিত্তি মজবুত করতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। নিয়োগের পর, বিভিন্ন কংগ্রেস নেতারা তাঁকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। একটি ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, “বিহার কংগ্রেসের ইনচার্জ হিসেবে নিযুক্ত হলেন কৃষ্ণ আল্লাভারু; অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল।”
রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ কৌশলের ইঙ্গিত দেয়। এটি দলের অভ্যন্তরীণ পুনর্গঠন এবং নেতৃত্বের পুনর্বিন্যাসের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা আসন্ন নির্বাচনে কংগ্রেসের সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিহার রাজ্যে কংগ্রেসের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা, স্থানীয় ইস্যু এবং ভোটারদের মনোভাব বিবেচনায় রেখে কৌশল নির্ধারণ করা প্রয়োজন। কৃষ্ণ আল্লাভারুর নেতৃত্বে, কংগ্রেস বিহারে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে এবং ভোটারদের আস্থা অর্জনে সচেষ্ট হবে। তিনি বর্ষীয়ান নেতা মোহন প্রকাশের জায়গায় এই গুরুত্বপূর্ণ পদ পেলেন , যিনি দীর্ঘদিন ধরে বিহারের দায়িত্বে ছিলেন।
কৃষ্ণ আল্লাভারুর বিহার ইনচার্জ হিসেবে নিয়োগ কংগ্রেসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠদের এই ধরনের দায়িত্ব প্রদান দলের পুনর্গঠন ও ভবিষ্যৎ কৌশলের অংশ। বিহারে কংগ্রেসের সাফল্য অনেকাংশে এই নতুন নেতৃত্বের কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করবে। এর সাথেই ছত্তিসগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল এবং রাজ্যসভার সদস্য সৈয়দ নাসির হুসেনকে পঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। নাসির হুসেন লাদাখেরও সাধারণ সম্পাদকের স্থান গ্রহণ করবেন বলে শোনা গেছে।