শনিবার ইজরায়েলি তিন জন মানববন্ধী মুক্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ইজরায়েলি-আর্জেন্টিনিয়ান ইয়াইর হর্ন, ইজরায়েলি-আমেরিকান সাগুই ডেকেল-চেন এবংইজরায়েলি-রাশিয়ান সাশা ট্রুফানোভ রয়েছেন। এই মুক্তি ঘটেছে মিশর এবং কাতারের কর্মকর্তাদের সফল মধ্যস্থতার মাধ্যমে। এই তিনজনকে হামাস বিদ্রোহীরা গত ৭ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে ইজরায়েলের উপর হামলা চালিয়ে আটক করেছিল। মুক্তি পাওয়া এই তিনজনকে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়, যারা পরে তাদের ইজরায়েলি বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে।ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, মুক্তিপ্রাপ্ত ওই তিনজন বর্তমানে ইজরায়েলে ফিরেছেন এবং তাদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেছেন ।
এই মুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দি বিনিময়ের অংশ, যা অনুযায়ী ৩৬৯ জন ফিলিস্তিনি বন্দী ও আটক ব্যক্তি মুক্তি পাবে। এই বন্দি বিনিময়ের চুক্তিটি ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে চলমান সাময়িক যুদ্ধবিরতির জন্য এক বড় পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে, দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হওয়া আশা করা হচ্ছে, যদিও পরিস্থিতি এখনও অনেক বেশি অস্থিতিশীল এবং জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যুদ্ধবিরতি স্থায়ী করার জন্য তৎপর রয়েছে।
এই চুক্তি সম্পর্কিত আরও তথ্য জানিয়ে মিশরের এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, “এই বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে আমরা আশা করি, এটি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি এবং স্থিতিশীলতার পথে একটি নতুন মাইলফলক হতে পারে।” যদিও এর আগে অনেকবার এই ধরনের চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি, তবে এবারের চুক্তি একটি দিক দিয়ে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে, কারণ এতে দুটি পক্ষের মধ্যে আলোচনার নতুন রাস্তা খুলে দেওয়া হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিষয়টি অবশ্য ইসরায়েলের জন্য একটি সংবেদনশীল বিষয়, কারণ তারা অনেক সময়েই বন্দি বিনিময়ের সময় তাদের দেশের নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে আনে। তবে, এই চুক্তি দ্বারা ইসরায়েলি সরকার এটি প্রমাণ করতে চায় যে, তারা মানবাধিকার এবং শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এদিকে, হামাসের পক্ষ থেকেও এই চুক্তিকে একটি সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তারা মনে করে, ফিলিস্তিনিদের মুক্তি শান্তির পথে এক ধাপ এগিয়ে যাবে, তবে তারা জানায়, তাদের লক্ষ্য হল পুরোপুরি স্বাধীনতা ও নিজ ভূখণ্ডের অধিকার অর্জন। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন শনিবার জিম্মিদের মুক্ত করতেই হবে এবং এই বিবৃতিকে স্বীকৃতি জানিয়েছিলেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। হামাসের এই সিদ্ধান্ত যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করতে সাহায্য করেছে এ কথা বলাই বাহুল্য।