রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু শনিবার বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং মেশিন লার্নিংয়ের ক্ষেত্রে গতিশীল অগ্রগতির কারণে ভবিষ্যৎ অত্যন্ত নাটকীয় হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রযুক্তির এই দুই ক্ষেত্রের উন্নতির সঙ্গে মানবজাতির জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে চলেছে, যা শুধু শিক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, বরং প্রতিটি শিল্প এবং সমাজের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং মেশিন লার্নিংকে একীভূত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এটি বর্তমান সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন, যা প্রযুক্তিগত উন্নতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে। বিরলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, মেসরা, রাঁচির উদাহরণ দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, এটি অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে, এই প্রতিষ্ঠানটি ২০২৩ সালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং সম্পর্কিত নতুন কোর্স চালু করেছে এবং তা ইতোমধ্যে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। রাষ্ট্রপতির মতে, এই ধরনের উদ্যোগ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও আধুনিক এবং প্রযুক্তিনির্ভর করে তুলছে।
তিনি বলেন, “এটি শুধুমাত্র একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, বরং একটি উদাহরণ যে কীভাবে আমরা প্রযুক্তি এবং শিক্ষা সিস্টেমকে একত্রিত করে দেশের ভবিষ্যতকে আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে পারি।” রাষ্ট্রপতি আরও জানান, উচ্চশিক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অন্তর্ভুক্তি শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং তাদের আন্তর্জাতিক পর্যায়েও প্রতিযোগিতামূলক করবে।
এছাড়া, রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিংয়ের ব্যবহার শুধু প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং তা বিভিন্ন ক্ষেত্রে, যেমন স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবহন এবং অর্থনীতিতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।” প্রযুক্তির এই দ্রুত অগ্রগতির সাথে খাপ খাইয়ে চলা দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিল্পক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করতে সরকার তৎপর রয়েছে, এবং এরই মধ্যে নানাবিধ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে রাষ্ট্রপতি জানান।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু BIT মেসরার প্রফেসর ও শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “এই প্রতিষ্ঠানটি ৭০ বছর ধরে একাডেমিক উৎকর্ষ, গবেষণা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে অনেক বড় অর্জন করেছে, যা আমাদের গর্বের বিষয়।” তিনি আরও জানান, BIT মেসরা মহাকাশ প্রকৌশল এবং রকেট নির্মাণের ক্ষেত্রে একটি অগ্রণী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত এবং বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি নতুন কোর্সের সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, “এই প্রতিষ্ঠানটি মহাকাশ প্রকৌশল এবং রকেট তৈরির মতো উন্নত প্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রচুর অবদান রেখেছে এবং আজও অত্যাধুনিক শিক্ষাদানে নেতৃত্ব দিচ্ছে।”