গাজীপুরের চেনা চিত্র এবার দেখা গেলো বরিশালে, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের এক ছাত্র নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠলো। বহুদিন ধরেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভের পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। কিছুদিন আগেই গাজীপুরে হামলা হয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীর বাড়িতে। সেখানে মার খেয়েছিল বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্ররা। এবার খোদ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারীদের জামাত বলে অভিযোগ করে ওই ছাত্র নেতাকে মারধর করা হয় বলে জানা গেছে।
এই ঘটনায় রীতিমতো বিষোদ্গার করেছেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। তাদের মতে “আন্দোলনের বিপক্ষে মানুষ কথা বলতেই পারেন কিন্তু তার জন্য শারীরিক ভাবে কাউকে হেনস্থা করা যায়না। ” বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলতার অভিযোগ করেছেন। সম্প্রতি তথাকথিত ছাত্র আন্দোলনকারী দের আক্রমণে ৩২ নম্বর ধানমুন্ডি র বাড়ি আজ প্রায় ধ্বংসাবশেষ। ছাত্রদের বিরত হতে বলেন ইউনুস, কিন্তু সন্ত্রাস ছড়ানো ছাত্রদের গ্রেপ্তার না করে আওয়ামী লীগের সদস্যদের গ্রেপ্তার করান তিনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরও জানান, গত কিছু সময় ধরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জামাত-শিবিরের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। বিশেষ করে, জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী ছাত্র নেতারা সরকারের সমর্থন পাচ্ছে এবং এই কারণে তাদের উপর হামলা বাড়ছে। অন্যদিকে, জামাত-শিবির সমর্থকরা সরকারের বিরোধী হিসেবে তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে, ফলে একে অপরের মধ্যে সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ ঘটনায় সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে নতুন চাপানউতোর সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এই ধরনের সহিংসতার ঘটনার ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন এবং ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। তবে, অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মনে করছেন, যদি এই ধরনের সহিংসতা অব্যাহত থাকে, তবে দেশের ছাত্র আন্দোলন এবং সাধারণ জনজীবনে এর প্রভাব পড়তে পারে।