প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় (Pratul Mukhopadhyay)। দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন তিনি।শনিবার সকালে এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ কিংবদন্তি গায়ক। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই সময় তাঁর নাক দিয়ে আচমকাই রক্তক্ষরণ হয়েছিল। অতিরিক্ত সংক্রমণে প্রভাব পড়ে কিডনি, ফুসফুসে। সম্প্রতি অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ভেন্টিলেশনে ছিলেন। ১৫ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে প্রতুলকে দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে বিছানায় শুয়ে প্রতুল তার বিখ্যাত গান ‘আমি বাংলায় গান গাই’ মমতাকে (Mamata Banerjee) শোনান।
গত মঙ্গলবার গায়কের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ফোন করে খোঁজখবর নেন। তিনি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে প্রতুলের স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেছেন। এছাড়াও রাজ্যের দুই মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন এবং অরূপ বিশ্বাসকেও মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে পাঠিছিলেন। তাঁরা প্রতুলের চিকিৎসা ও শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়ার জন্য। বুধবার সন্ধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী।
জানাগিয়েছে,অন্ত্রের অপারেশনের পর তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এরপর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। দ্রুত তাকে কার্ডিওলজি বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে তার হার্ট অ্যাটাকের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। তার ফুসফুসেও সংক্রমণ তৈরি হয়েছে, যার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছিল।
উল্লেখ্য, প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের (Pratul Mukhopadhyay) জন্ম ১৯৪২ সালে বাংলাদেশের বরিশালে। তিনি ১৯৫৩ সালে স্কুলে যাওয়ার পর থেকেই অভিনয়ে প্রতিভা দেখান। ১৯৬৩ সালে তিনি প্রথম গান লেখেন এবং সেই সময় নকশাল আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। এক সময় তিনি এপার বাংলায় চলে আসেন এবং ১৯৯৪ সালে তার প্রথম অ্যালবাম ‘যেতে হবে’ প্রকাশ পায়। প্রবীণ গায়কের জনপ্রিয় গান গুলির মধ্যে অন্যতম গান ‘আমি বাংলায় গান গাই’।