ইউক্রেনের পরমাণু চুল্লিতে হামলা করল রাশিয়া, সন্ত্রস্ত সারা বিশ্ব

জেলেনস্কির বিস্ফোরক দাবিতে এই মুহূর্তে কার্যত সন্ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। রাশিয়া হামলা করেছে পরমাণু চুল্লিতে এমনই একটি বিস্ফোরক দাবি করেছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। পরমাণু কেন্দ্রের ধ্বংসাবশেষ রক্ষার…

জেলেনস্কির বিস্ফোরক দাবিতে এই মুহূর্তে কার্যত সন্ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। রাশিয়া হামলা করেছে পরমাণু চুল্লিতে এমনই একটি বিস্ফোরক দাবি করেছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। পরমাণু কেন্দ্রের ধ্বংসাবশেষ রক্ষার জন্য তৈরী বিশেষ কাঠামোতে আছড়ে পড়লো ড্রোন। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে লেগে যায় আগুন। আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা সূত্রে জানা গেছে আজ ১৪ ফেব্রয়ারি এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো বলেছেন এটা সন্ত্রাসবাদী হামলা ছাড়া আর কিছুই নয়।

পারমানবিক কেন্দ্রের উপর বিস্ফোরণ সারা বিশ্বের ক্ষতি করতে পারে। তার তেজস্ক্রিয়তা নষ্ট করতে পারে বহু জনজাতির ভবিষ্যৎ। যদিও তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়াতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। তবে বিস্ফোরণে সুরক্ষা ব্যবস্থা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থার দাবি বড়োসড়ো কোনো ক্ষতি হয়নি চেরনোবিলের ভিতরে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যদি তা হতো তবে একটা কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি হতে হতো সারা বিশ্বকে।

   

১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল, সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমানে ইউক্রেনের অংশ) চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ঘটে বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়। চেরনোবিলের দুর্ঘটনা শুধু একটি প্রযুক্তিগত ব্যর্থতা ছিল না, এটি একটি মানবিক, পরিবেশগত এবং বৈশ্বিক বিপর্যয়ের রূপে বিশ্ব ইতিহাসে লেখা হয়ে যায়।

চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রের রিয়্যাক্টর-৪-এ একটি পরীক্ষামূলক পরীক্ষা চলছিল, যার লক্ষ্য ছিল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জরুরি সুরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা করা। কিন্তু, পরীক্ষা চলাকালীন সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করা এবং মানবিক ত্রুটির কারণে, রিয়্যাক্টরটি অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়। এতে ব্যাপক মাত্রায় পারমাণবিক বিকিরণ ছড়িয়ে পড়ে, যা শুধু সোভিয়েত ইউনিয়ন নয়, বরং ইউরোপের নানা অংশেও ছড়িয়ে পড়ে। এরপর দ্রুত পুড়ে যাওয়া রিয়্যাক্টরের ভেতরের তাপমাত্রা ও চাপের কারণে পারমাণবিক বিকিরণ নিঃসরণ বেড়ে যায়, যা ব্যাপকভাবে পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার পর, প্রথমে সোভিয়েত ইউনিয়ন সরকার এ ব্যাপারে নীরব ছিল, তবে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পরে জানানো হয় যে এটি একটি বড় দুর্ঘটনা। তবে আজকের ড্রোন হামলার পরে এরকম ঘটনার সাক্ষী হতে পারতো ইউক্রেন। শুধু ইউক্রেনে নয় সারা বিশ্ব এর সাক্ষী হয়ে থাকতো।