ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র বিরুদ্ধে বজরং দল, ফরিদাবাদে ১৪ ফেব্রুয়ারি এখন ‘শহীদ দিবস’

উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে বজরং দল (Bajrang dal) ও ভারতীয় সুফি ফাউন্ডেশন ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র (Valentine’s Day) বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তারা এটিকে পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুষ্ঠান হিসেবে নিন্দা…

valentine-day-opposition-bajrang-dal-faridabad-martyrdom-day

উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে বজরং দল (Bajrang dal) ও ভারতীয় সুফি ফাউন্ডেশন ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র (Valentine’s Day) বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তারা এটিকে পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুষ্ঠান হিসেবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ভারতে এর কোনো স্থান নেই।

২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলায় (Pulwama attack) শহীদ ৪০ জন ভারতীয় সেনার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে বজরং দল। ১৪ ফেব্রুয়ারির এই হামলায়, নিরাপত্তা বাহিনীর কনভয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৪০ জন সেনাকে হত্যা করে। বজরং দলের নেতারা শহরের বিভিন্ন স্থানে টহল দেওয়ার জন্য ১২টি দল গঠন করেছেন এবং আশেপাশের জেলাগুলিতেও আরও ২০টি দল কাজ করবে।

   

রাষ্ট্রীয় বজরং দলের রাজ্য সভাপতি রোহন সাক্সেনা বলেন, “আমরা ভ্যালেন্টাইন্স ডে উদযাপন করতে দেব না। বরং আমরা শহীদদের সম্মান জানাবো। তিনি আরও জানান, “যদি আমরা পার্ক বা রেস্তোরাঁর মতো জনসাধারণের স্থানে দম্পতিদের খুঁজে পাই, তাহলে আমরা তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করব। যদি তারা ভাইবোন বা বিবাহিত না হয়, তাহলে আমরা তাদেরকে ভাই-বোনের ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে রাখি পরতে বলব।” তিনি আরও বলেন, “আমরা আইন ভঙ্গ করব না বা কারও ক্ষতি করব না, তবে তাদেরকে আমাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে শিক্ষিত করে তুলব।”

ভারতীয় সুফি ফাউন্ডেশনও ভালোবাসা দিবস উদযাপনের বিরোধিতা করেছে। সংগঠনের জাতীয় সভাপতি কাশিশ ওয়াসি বলেন, “এটি ধর্মের বিষয় নয়, বরং আমাদের তরুণদের সঠিক পথে পরিচালিত করার বিষয়। আমরা চাই তারা বাড়িতে থাকুক, উপবাস করুক এবং প্রার্থনা করুক।”

মোরাদাবাদ পুলিশ কর্তৃপক্ষ যেকোনো বিশৃঙ্খলা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। এসপি সিটি কুমার সিং বলেন, “কেউ যদি শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করে, তাহলে আইন তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এই সিদ্ধান্ত নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছেন। আবার অনেকেই এটিকে দেশপ্রেম ও সংস্কৃতি রক্ষার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বলে মনে করছেন। এখন দেখার আগামী দিনে ১৪ ফেব্রুয়ারির দিনটি কীভাবে পালিত হয়।