বিশ্বজুড়ে আধুনিক যুদ্ধে ড্রোনের ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। এটি মাথায় রেখে, আদানি ডিফেন্স এবং অ্যারোস্পেস DRDO-এর সহযোগিতায় ‘ভেহিকেল-মাউন্টেড কাউন্টার-ড্রোন সিস্টেম’ লঞ্চ করেছে। বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত অ্যারো ইন্ডিয়া শো-তে উপস্থাপিত এই উন্নত সিস্টেমটিকে ভারতের নিরাপত্তা আরও জোরদার করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ এবং শিল্প নেতাদের উপস্থিতিতে ডিআরডিও-র ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন সিস্টেমস বিভাগের মহাপরিচালক ড. বি কে দাস এটি উপস্থাপন করেন। যাই হোক, নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে ভারতের একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ড্রোন ব্যবস্থা দরকার ছিল। এই নতুন সিস্টেমে দীর্ঘ পরিসরের সুরক্ষা, দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং সঠিক আক্রমণের ক্ষমতা রয়েছে। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ড্রোন সনাক্ত এবং ধ্বংস করতে পারে।
এর বৈশিষ্ট্য কী?
এটি একটি 4×4 গাড়িতে ইনস্টল করা আছে। এটা দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য। ড্রোনকে নির্ভুলভাবে ধ্বংস করার জন্য এটিতে উচ্চ-শক্তির লেজার সিস্টেম রয়েছে। বায়ু হুমকি মোকাবিবেলা করার জন্য একটি 7.62 মিমি বন্দুক রয়েছে। রাডার, সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স (SIGINT), ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সেন্সর এবং জ্যামারের মতো আধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে যা 10 কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে শত্রু ড্রোন সনাক্ত করে ধ্বংস করতে পারে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী নতুন শক্তি পাবে। এর সবচেয়ে বিশেষ ব্যাপার হল এতে অনেকগুলো অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি একসাথে যুক্ত করা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য এটি খুবই কার্যকরী অস্ত্র হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। প্রতিরক্ষা ঘাঁটি সুরক্ষিত রাখতে এই ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
যদি রিপোর্টগুলি বিশ্বাস করা হয়, এটি ভারতের প্রতিরক্ষা উদ্ভাবনের সাফল্য দেখায়। আদানি ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস-এর তরফে বলা হয়েছে যে আমরা ডিআরডিও-র অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে একটি শক্তিশালী সমাধানে রূপান্তরিত করছি এবং এটি সেনাবাহিনীর কাছে উপলব্ধ করছি। আমরা ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সবচেয়ে আধুনিক এবং দেশীয় প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।